Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইফতারে নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২১, ১০:০৭ AM
আপডেট: ০৯ মে ২০২১, ১০:০৭ AM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ইফতারের সঙ্গে নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৭ মে) রাতে উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রিপন মিয়াসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, গেল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ফুফাতো ভাইয়ের (১২) মাধ্যমে নেশার ওষুধ কিনে তা ইফতারসামগ্রীতে মিশিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে পাঠায়। নেশা মেশানো ইফতারসামগ্রী খাওয়ার পর ওই ছাত্রী এবং তার দাদা অজ্ঞান হয়ে গেলে মধ্যরাতে তাদের ঘরে এসে রিপন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

ভোর রাতে ওই ছাত্রীর ঘুম ভাঙার পর তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে মেয়েটি ঘটনা খুলে বলে। পরে পুলিশকে খবর দিলে এই ঘটনায় রিপনসহ মেয়েটির ফুফাতো ভাই ফয়সাল এবং নেশাজাতীয় ওষুধ বিক্রেতা জসিম উদ্দিনকে আটক করে। ভিকটিমকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এতিম মেয়েটির একমাত্র আশ্রয় তার বৃদ্ধ দাদা। বাড়িতে তার বৃদ্ধ দাদা ছাড়া আর কেউ নেই। এই সুযোগে ধর্ষক রিপন মেয়েটির ফুফাতো ভাইয়ের মাধ্যমে ইফতারসামগ্রীর সঙ্গে নেশাজাতীয় ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে মধ্যরাতে ধর্ষণ করেছে।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষকসহ আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নেশাজাতীয় ওষুধ বিক্রেতা জসিম দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞান পার্টির সঙ্গে জড়িত। সে অজ্ঞান পার্টির বড় হোতা। সে এলাকায় শিশুদের দিয়ে নেশার ওষুধ বিক্রি করে এবং চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন, ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। তার সহযোগী এবং নেশাজাতীয় ওষুধ বিক্রেতাকেও আটক করা হয়েছে। রিপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Bootstrap Image Preview