আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গত দু’দিন ধরেই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। শনিবার (৮ মে) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সড়কে নির্দেশ অমান্য করে চলছে দূরপাল্লার বাস।
শনিবার সকালে মহাসড়কের ঘারিন্দা, কান্দিলা, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর ও এলেঙ্গা এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায়। ঘরমুখো মানুষদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক ও মাছের গাড়িতে করোনার ঝুঁকি নিয়েও গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া বাস, প্রাইভেট কারসহ ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে চলছে মানুষ। মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৭ মে) থেকে শনিবার (৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ২৫ হাজার যানবাহন পার হয়েছে। এরমধ্যে ১৩ হাজার ব্যক্তিগত পরিবহন রয়েছে। আর যাত্রীবাহী পরিবহন রয়েছে দেড়শ। এছাড়া পার হয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন ট্রাক। সেতুতে মোট টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা।
উত্তরবঙ্গগামী ট্রাকচালক হানিফ মিয়া বলেন, সকাল থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। ঘারিন্দা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়ক আসতে ১০-১২ মিনিট লাগলেও এখন সময় লাগছে প্রায় আধঘণ্টা।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, পাটুরিয়া দৌলদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নির্দেশ অমান্য করায় কিছু দূরপাল্লার বাসকে মামলা দেয়া হচ্ছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
তবে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।