শেষমেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেই হাসি ফুটল। দিনভর নাটকীয়তার পর জানা গেল, এ আসনে নিজের হাতে গড়া নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জিতেছেন নন্দীগ্রামেও। মমতার হাতে গড়া তৃণমূলের নেতা ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক পল্টিতে যোগ দেন বিজেপিতে। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মমতা নিজে। তাকে পরাজিত করলেন মমতা।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ১২০১ ভোটে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু।তার পর লাগাতার মমতা ও তার ভাইয়ের ছেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে গেছেন তিনি। সেই তুলনায় তৃণমূল অনেকটাই স্তিমিত ছিল। তবে অধিকারীদের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ পেরেক পোতেন মমতাই। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন এখান থেকেই ভোটে লড়বেন তিনি। এবার জয়ী হয়ে সকল সমালোচনার জবাব দিলেন মমতা।
এর আগে, সকাল ৮টায় বিধানসভার ২৯২ আসনের ফলাফল গণনা শুরু হয়েছে । প্রথম রাউন্ড থেকেই পিছিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দুপুর ২টার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। সর্বশেষ ১৫ রাউন্ড শেষে ৮ হাজার ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে গেলেও ১৬ রাউন্ড গণনার শেষে মাত্র ৬ ভোটে পিছিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লড়াইয়ের সর্বশেষ ফলাফলটা আর কিছুক্ষণ পরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথের দিকেই নজর সবার। নন্দীগ্রামে দ্বিতীয় দফায় ১ এপ্রিল ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যেই শেষ হয় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভার মোট ২৯৪ আসনের মধ্যে ২৯২ আসনের ৮ দফা এই নির্বাচনের বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ছিল শেষ দফা ভোটগ্রহণ। শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় নির্বাচন। প্রার্থীর মৃত্যু জনিত কারণে ২টি আসনে ভোট স্থগিত রয়েছে। আগামী ১৬ মে এই ২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে।