ওষুধ শিল্পে গাঁজার চাহিদা ব্যাপক। সম্প্রতি সদস্য দেশগুলোর এক ভোটাভুটির মাধ্যম গাঁজাকে কঠিন মাদকের তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে বৃহদাকারে গাঁজা চাষের মাধ্যমে আগামী তিন বছরে ১০০ কোটি ডলার আয়ের সম্ভাবনা দেখছে ইমরান খানের সরকার।
দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের একটি অংশ ধরতে পারলে তিন বছরে এই খাত থেকে পাকিস্তানের আয় দাঁড়াবে ১০০ কোটি ডলার। যেখানে গোটা আন্তর্জাতিক বাজারের আকার এখন ২৫ হাজার কোটি ডলারের।
গত কয়েক বছর ধরেই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের অর্থনীতি। সেই জায়গায় গাঁজা চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছে দেশটির সরকার।
শিল্পে ব্যবহারের জন্য গাঁজা চাষের অনুমতি দেবে পাকিস্তান। গত সেপ্টেম্বরে এমন ঘোষণা এসেছে সরকারের তরফ থেকে৷ দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের একটি অংশ ধরতে পারলে তিন বছরে এই খাত থেকে পাকিস্তানের আয় দাঁড়াবে ১০০ কোটি ডলার। যেখানে গোটা আন্তর্জাতিক বাজারের আকার এখন ২৫ হাজার কোটি ডলার।
শিল্পে ব্যবহারের জন্য ইতোমধ্যে গাঁজা চাষের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই এমন পরিকল্পনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছি।
পাকিস্তানে বসবাসরত জার্মান পরিবেশবিদ হেলগা আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, গাঁজা খারাপ আবহাওয়াতেও সহজে চাষ করা সম্ভব। এর উৎপাদনে কোনো কীটনাশকের প্রয়োজন নেই, যার কারণে এটি পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ। এমনকি অল্প জমিতেও এটি যথেষ্ট জন্মে এবং তুলার চাষের চেয়ে কম পানির প্রয়োজন হয়।'
সূত্র: ডয়েচে ভ্যালে