দেশে ‘শিশু’ বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে তার নানা ঘটনা। বক্তা হিসেবে আলোচিত এই ব্যক্তির ব্যক্তিজীবনও বেশ আলোচিত। তার মোবাইল ফোনে মিলেছে বেশ কিছু পর্নো ভিডিও; রয়েছে বিয়ে নিয়েও অস্পষ্টতা।
আজ বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয় ২৬ বছর বয়সী রফিকুল মাদানীকে, এরপর বিকেলে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আনে মামলা হয়। হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব, তার মোবাইল ফোনও তল্লাশি করা হয়। র্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তার ফোনে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে। আসমা বেগম নামের এক নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন বলে যে দাবি করেছেন তা নিয়েও নানা তথ্য পাওয়া গেছে। ওই নারীর সঙ্গে রফিকুলের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়নি। বিয়ে নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে।
এদিকে ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে হঠাৎ পরিচিত হয়ে ওঠা রফিকুল ইসলাম কিছুটা অস্বাভাবিক খর্বকায়, বালকসুলভ চেহারা ও কোমল কণ্ঠস্বরের অধিকারী। তার নিজের ভাষ্যমতে, ‘১৯৯৫ সালে আমার জন্ম। কে বলছে আমি শিশু? আমার বয়স ২৬ বছর।’
বিভিন্ন সময়ে ওয়াজে তার নামের সঙ্গে ‘শিশু বক্তা’ বিশেষণ ব্যবহার না করার অনুরোধও করেন তিনি। যদিও এই শব্দ-ভূষণ ব্যবহারের সুবিধা অনেকদিন থেকেই নিয়ে আসছেন রফিকুল।ইউটিউবে অনেক ওয়াজই রয়েছে রফিকুল ইসলাম মাদানীর। সেখানে একটি মাহফিলের ভাষণে জঙ্গিদের হাতে নিহত লেখক অভিজিৎ রায় ও ব্লগার রাজীব হায়দারের খুনিদের ‘আমাদের ভাই’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি।
এসব মামলায় জঙ্গিদের ফাঁসির রায় হয়েছে। কিন্তু সে রায় কার্যকর না করে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার ধৃষ্টতাপূর্ণ দাবি করেছেন এই ‘শিশু বক্তা’। তিনি এও বলেছেন, ‘এরশাদ শিকদারের মতো খুনিরা ফাঁসির রায় শুনে কাঁদে। আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা ফাঁসির রায় শুনে হাসতে হাসতে মিডিয়ার সামনে কথা বলে।’
এদিকে রফিকুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। স্থানীয় স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হলেও পরে তিনি মাদ্রাসায় ভর্তি হন ও নূরানি, হেফজ পড়েন। এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েন।