ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ টিকা আসার কথা। জানুয়ারি মাসে ৫০ লাখ টিকা এলেও ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছে মাত্র ২০ লাখ।
এদিকে মার্চ মাস পেরিয়ে গেলেও গেলো দুই মাসের বকেয়া টিকা আসার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে করোনার প্রকোপ প্রতিদিন বেড়েই চলছে। তবে পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় (৮ এপ্রিল) শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ অবস্থায় চুক্তি অনুযায়ী ক্রয়কৃত টিকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পেতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মার্চের শেষ সপ্তাহে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির জবাব এখনও আসেনি।
তবে আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই আমরা টিকা পাবো।
তিনি বলেন, প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হবে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রয়োগের জন্য ৪২ লাখ টিকা মজুত রয়েছে। এই টিকা দিয়েই লকডাউন ও রমজানে টিকা প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গেলো ২৪ মার্চ স্থগিত করে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকা রপ্তানি বিলম্বিত হতে পারে।
এদিকে দেশে গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২১৩ জন। একদিনে মৃত্যু ও শনাক্তের হিসেবে যা নতুন রেকর্ড।