Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘পুরো শহরকে হাসপাতাল করলেও রোগী রাখার জায়গা হবে না’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২১, ১১:৫২ PM
আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২১, ১১:৫২ PM

bdmorning Image Preview


গত এক মাস আগে আক্রান্তের হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। এখন এটি প্রায় ২০ শতাংশে চলে গেছে। দিনে ৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুর সংখ্যাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্যখাতের উদ্যোগে সরকারিভাবে দ্রুততার সঙ্গে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আড়াই হাজার বেড বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৪০টি নতুন আইসিইউ বেড স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে রোগী এভাবে বাড়তে থাকলে গোটা ঢাকা শহরকে হাসপাতাল করে ফেললেও রোগী রাখার জায়গা দেওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় অনলাইন জুম মিটিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ এ ক্রমাগত অবনতি, সার্বিক পরিস্থিতি, হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা ও শয্যা বৃদ্ধি’ বিষয়ে বিপিএমসিএ’র সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। 

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন হাসপাতালটি কোভিড ডেডিকেটেড করা হচ্ছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালসহ দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালে শত শত শয্যা কোভিড ডেডিকেটেড করা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিদিন যদি ৫শ’ থেকে ১ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে তাহলে গোটা ঢাকা শহরকে হাসপাতাল করে ফেললেও রোগী রাখার জায়গা দেয়া যাবে না। এর জন্য যা করার এখনই করতে হবে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে যা করতে হবে তা হচ্ছে, যে যে স্থান থেকে করোনা সৃষ্টি হচ্ছে সেই সব স্থানে এখনই জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ সময় মন্ত্রী সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, সব পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, যানবাহনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র সমূহে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিয়ে-সাদি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পিকনিক আয়োজন বন্ধ রাখতে হবে। সব মানুষকে মুখে মাস্ক পরতে হবে। কারণ এখনই করোনাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে নিকট ভবিষ্যতে করোনাকে আর খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়বে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের মালিক,পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের কোভিড বেড সংখ্যা কমপক্ষে দেড় থেকে দুই হাজার বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে কোভিডকে মোকাবিলা করাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সাধারণ মানুষ এখন বেপরোয়া চলাফেরা করছে। এটিকে থামাতেই হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও কোভিড মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এন্টিবডি টেস্টের অনুমোদন দেবার অনুরোধ জানালে ঢাকার বড় বড় প্রাইভেট মেডিকেলগুলিকে এন্টিবডি টেস্টের অনুমোদন দেবার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। 

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিপিএমসিএ'র উপদেষ্টা ডা. মো. এনামুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার গোসেন খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম। 

এছাড়াও সভায় আরও আলোচনা করেন পপুলার মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

সভায় গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ,ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান, পরিচালক সহ অন্য সহযোগী বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যানরা অংশ নেন।

Bootstrap Image Preview