হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশেপাশে কোনো প্রভাব পড়েনি। এদিন হাতেগোনা কয়েজন নেতা ও অফিস কর্মচারীরা ছাড়া কেউই কার্যালয়ে আসেননি। তবে কার্যালয়ের আশপাশে কিছুসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
রোববার (২৮ মার্চ) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু এবং অফিস কর্মচারীরা রয়েছেন। কোনো কর্মীর আনাগোনা নেই। কার্যালয়ের আশপাশে কিছুসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের কর্মসূচি থেকে সহিংসতার ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছন নেতাকর্মীরা। তাদেরকে আর প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। দলের সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভীও করোনায় আক্রান্ত। এছাড়া করোনার সংক্রমণ বাড়ায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচিও স্থগিত থাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় কার্যত নীরব।
জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, ‘আজ আমাদের দলীয় কর্মসূচি হলো থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি। এনিয়ে নেতাকর্মীরা ব্যস্ত। তাদের আজ এখানে কোনো কর্মসূচি নেই। ফলে সেভাবে কেউ আসেননি।’
হরতাল পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হরতাল যে কোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার। তবে সরকার এই হরতাল ঠেকানোর নামে যা করছে তা স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।’
সারাদেশের বিক্ষোভের চিত্র নিয়ে বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।