Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শাপলাচত্বরে মোদিবিরোধী বিক্ষোভ, ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২১, ০২:২৪ PM
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২১, ০২:২৪ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বরে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলে যুব, ছাত্র অধিকারসহ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন।

পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টায় মতিঝিল শাপলাচত্বরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।

অন্যদিকে এ ঘটনার পর মতিঝিল এলাকা থেকে পুলিশ শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানিসহ ১১ জনকে আটক করে প্রিজনভ্যানে করে নিয়ে যায়।

বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা তানজিদ এবং সুবর্ণ নামে দুইজন আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মিন্টু কুমার বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে মতিঝিল শাপলাচত্বর এলে পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে, তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন ডাস চত্বরে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ ও কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক এবং ছাত্রজোটের নেতাকর্মীসহ ২৫ জন আহত হন। ওই হামলার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করেন ছাত্রজোটের নেতারা।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা তখন বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। তবে সকাল থেকে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রজোটের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী টিএসসি চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ হয়ে আবার টিএসসি ফিরে এসে ডাসের সামনে নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ করতে থাকেন এবং ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

ছাত্রজোটের নেতাদের অভিযোগ, এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী কুশপুতুলের আগুন নেভানোর জন্য দূর থেকে পানি ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। জোটের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে ছাত্রলীগ সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও তাদের ওপর হামলা চালায়, তখন দুই পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ছাত্রজোটের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আহত হন।

প্রসঙ্গত, আজকের বিক্ষোভ থেকে আটক হওয়া রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই শিশুবক্তা বলেন এবং এ হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি। নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম ২০ দলীয় জোটভুক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলেও জানা যায়।

Bootstrap Image Preview