করোনা মহামারির সময়ে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা জালিয়াতি করার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসেন চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ। করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে কোটি টাকা মানুষের কাছ হাতিয়ে নেন। ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ধীরে ধীরে বের হয়ে আসে সাবরিনার আরো কয়েকটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
জালিয়াতি করে নিজের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, সাবরিনার বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলাটির অভিযোগপত্র প্রস্তুতে কাজ চলছে।
সাবরিনা ২০০৯ সালে প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্র করেন। সেখানে তার জন্মতারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রকৃত জন্মতারিখ গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র ২০১৬ সালে বানিয়েছিলেন। সেখানে তার জন্ম তারিখ ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় জন্ম তারিখ হিসেবে সাবরিনা ৮ বছর বয়সে ১৯৯১ সালে এসএসসি পাস করেন এবং ১৭ বছর বয়সে ২০০০ সালে এমবিবিএস পাস করেছেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ১৫,৪৬০টি ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে। এরপর গত বছরের ১২ জুলাই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার মামলায় জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার (জেকেজি হেলথকেয়ার) চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।