রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় হঠাৎ করেই চুলায় গ্যাস নেই। তাই রান্না করতে পারেননি এসব এলাকার বাসিন্দারা। ফলে রেস্টুরেন্টে ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।মিরপুরের পীরেরবাগ, মিরপুর-১২, আগারগাঁও, ঝিগাতলা, ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোড ও কলাবাগান এলাকার খাবারের দোকানে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
যাদের অবস্থা একটু ভালো তারা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে খেয়েছেন। তবে নিন্ম আয়ের মানুষের ভরসা ছিল কলা আর রুটি।
আমিনবাজার এলাকায় সড়কে কাজের সময় মাটির গভীরে গ্যাসের একটি পাইপ ফেটে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দেয়।
মঙ্গলবার মিরপুর ১২ নম্বরের মুসলিম বাজারের কয়েকটি রেস্টুরেন্টে ভিড় দেখা গেছে। জানতে চাইলে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজাররা জানান, এই এলাকায় গ্যাস না থাকায় খাবারের দোকানে ভিড় বেড়েছে। দুপুর ১২টার পর থেকে মূলত ক্রেতার ভিড় বাড়ে।
মিরপুর ১২ এর সি-ব্লকের বাসিন্দা গার্মেন্টস কর্মকর্তা হাসনাইন বাবু বলেন, সকালে হঠাৎ করেই গ্যাস না থাকায় তাকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। তার বাসাসহ আশপাশের বাসায় গ্যাস ছিল না। তবে দুপুরের দিকে অল্প পরিমাণে এলেও তা দিয়ে খাবার রান্নার মতো কাজ সারতে পারেননি। তিনি বলেন, তবে আশপাশের কোনো বাসাতেই গ্যাস ছিল না।
একই এলাকার সি-ব্লকের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকতা এমএসএস ইলিয়াস জানিয়েছেন, সকাল থেকেই তার বাসায় গ্যাস নেই। ফলে দুপুরে তিনি বাইরে খেলেও রাতে বাসায় কিভাবে রান্না হবে, এ নিয়ে তিনি চিন্তিত।
মিরপুর ১২ ই-ব্লকের গৃহিণী হাসনা হেনা জানান, সকাল ৮টা থেকে চুলায় কোনো গ্যাস নেই। এমনকি বিকাল পর্যন্ত গ্যাসের দেখা মেলেনি। দুপুরে রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে খেলেও রাতে কিভাবে খাবেন তা জানা নেই।
এ বিষয়ে তিতাস জানিয়েছে, মেরামতকাজ শেষ হলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরবে। তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) গণমাধ্যমকে বলেন, গ্যাসের সমস্যা তারা সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে শেষ করার আশা করছেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক কখন হবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।