চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া শুধু সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নয়, নির্ভর করছে তার সদিচ্ছার ওপরও। এ কথা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ তৃতীয় দফায় বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সময় সংবাদকে মির্জা ফখরুল জানান, বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার ব্যাপারে নানান সমীকরণ থাকলেও সব বিষয়েই চূড়ান্ত নেবেন বেগম জিয়া নিজেই।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে এবং তার ওপর যে শর্তারোপ আছে সেটি তুলে নিলে, এবং খালেদ জিয়া যদি চিন্তা করেন যাবেন তাহলে যেতে পারবেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে রায় হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার। দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে দুই বছর ১৭ দিন কারাবন্দি থাকার পর গতবছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করা হলে তিনি অবস্থান নেন গুলশানের বাসভবনে।
বিএনপি নেত্রী জেলে যাওয়ার পর থেকেই তাকে গুরুতর অসুস্থ দাবি করে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে তার দল ও পরিবার। এ নিয়ে দফায় দফায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। আদালত থেকেও এসেছে যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশনা। শর্তযুক্ত মুক্তির প্রায় একবছর পর চিকিৎসা নিয়ে কি ভাবছে দল কিংবা পরিবার? জানতে চাওয়া বিএনপি মহাসচিবের কাছে।
এদিকে সোমবার (৮ মার্চ) বিএনপি চেয়ারপারসনের দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ পূর্বের শর্তে আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দেয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দেন এবং উক্ত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সময় নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের ভেতরে থেকে যেকোনো জায়গায় চিকিৎসা নিতে পারবেন বেগম জিয়া। তবে স্থায়ী দণ্ড মওকুফের আবেদন বিবেচনা করা হয় নি।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বেগম জিয়াকে দেওয়া জামিনের শর্ত শিথিল করার পাশাপাশি দণ্ডাদেশ মওকুফ করার আবেদন জানান তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। আবেদনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে সেটি পাঠিয়ে দেন সচিবের দফতরে।