বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বড় একটি অভিযোগ হলো, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সময় দেন না।
এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইউজিসির প্রতিবেদন, তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের জবাব দেন বেরোবির উপাচার্য। প্রত্যাখ্যান করেছেন দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি।
বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে কলিমুল্লাহ বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে, আসকারায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনের আংশিক প্রকাশ করে আমাকে হেয় করা হচ্ছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, রাজনীতির শিকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকা নিয়ে যে অভিযোগ তা প্রত্যাখ্যান করেন বেরোবির এ উপাচার্য। এটাকে তিনি দাবি করেছেন মিথ্যাচার হিসেবে।
তিনি বলেন, আমি নিয়মিত ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে সময় দিই। অথচ পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়। আমি নাকি ক্যাম্পাসে থাকি না।
ইউজিসির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, ইউজিসির রিপোর্টের দায় শিক্ষামন্ত্রীর। মন্ত্রীর আসকারা, পরামর্শেই ইউজিসি এমন প্রতিবেদন দিয়েছে। আমাদের দেশে দুর্নীতি নিয়ে যে সমস্যা সেটা হচ্ছে ধামাচাপা দেওয়ার একটা কালচার আছে। শিক্ষামন্ত্রীর অফিস থেকে কয়েক পৃষ্ঠার খণ্ডিত অংশ নিয়ে লিক (ফাঁস) করা হয়েছে। এটা রাজনীতির একটা অপকৌশল। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হীন রাজনীতি করার জায়গা না।
‘যেসব মুখরোচক গল্প আমরা শুনেছি সেগুলো আইনানুগ না এবং আমরা এই কারণে বিষয়টা বুঝবার এবং সমাধানের জন্য সময় নিয়েছি। আমাদের অনুমান এই কাণ্ডটি করা হয়েছে একটা ভিন্ন চিন্তা ধারায়। এটি একেবারেই হিনমন্যতার পরিচয়। ’