দেশের প্রগতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী ফাহিম ফয়সাল। ফেসবুকে তার ফলোয়ার লাখের ওপরে। ২০১৯ সালে হঠাৎ তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হয়ে যায়। অনেক চেষ্টার পর ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন হ্যাকারের সঙ্গে। দাবি করে বড় অংকের টাকা। টাকা না দেয়ায় তার ফেসবুক পেইজে একের পর এক আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হয়।
ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার বিষয়ে ফাহিম ফয়সাল বলেন, হ্যাকারকে বলেছি আমার আইডিটি ফেরত দিন। আমি তো আপনার কোনও ক্ষতি করিনি। কেন আমার আইডি হ্যাক করেছেন? কিন্তু এক পর্যায়ে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়।
এরপর বাধ্য হয়ে ফাহিম সাহায্য চান গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে। আইডি হ্যাক হওয়ার দেড় বছর পর সেই হ্যাকারকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
হ্যাকার কিশোর মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দা। বয়স ১৮ বছরের নিচে। পড়ালেখা করেন উচ্চমাধ্যমিকে। এই বয়সেই হ্যাক করতে পারে যে কারো ফেসবুক প্রোফাইল। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানি একটি গ্রুপে জয়েন করে ফেসবুক হ্যাক করা শিখে। এরপর একে একে হ্যাক করেছে বহু মানুষের আইডি। বিশিষ্টজনদের আইডি হ্যাক করার পর ব্লাকমেইল করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে ডিবির সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) হাসান মোহাম্মদ মোহতারিম বলেন, পাকিস্তানি গ্রুপ থেকে হ্যাক করা শিখেছে হ্যাকার কিশোর। তারপর থেকে সে নিয়মিতভাবে আইডি হ্যাক করা শুরু করে। মূলত টাকার জন্যই এমন কাজ করে এই কিশোর। হ্যাকার কিশোরকে আটকের পর ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে শিল্পী ফাহিম ফয়সালের আইডিটি।