Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে বঁটির কোপ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৭:২০ PM
আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৭:২০ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


বরগুনায় এক তরুণীকে (২১) ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।

আসামিকে দণ্ডবিধির ৩২৬ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০৭ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন শাহিন (২৫)। তিনি বরগুনা পৌর শহরের উকিল পট্টির বাসিন্দা মৃত সফিজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আমরা এই রায়ে সন্তষ্ট হয়েছি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি শাহিনের সঙ্গে বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া এলাকার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিষয়টি পরিবার জানতে পরে ওই তরণীকে শাহিনের সঙ্গে মেলামেশা করতে নিষেধ করেন। এই ঘটনার পর তরুণী প্রথমে তার এক স্বজনের বাড়ি বেড়াতে যান এবং পরে সেখান থেকে কুয়াকাটায় যান। পরের দিন সেখান থেকে ফিরে বরগুনা শহরের টাউনহল এলাকায় শাহিনের সঙ্গে দেখা হয়। সেখানে অনেকক্ষণ কাথাবার্তা শেষে শাহীন তাকে নিয়ে ঢাকা যেতে চাইলে তরুণী রাজি হন। পরে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শাহীন একটি বটিসহ মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন।

শাহীন ওই তরুণীকে বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের পশ্চিম ধুপতি এলাকার ইটভাটায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে সঙ্গে থাকা বঁটি দিয়ে তরুণীর গলার ডানপাশে দুইটি কোপ দেন। এছাড়া যৌনাঙ্গের চারপাশে ৮টি কোপ দেন। তরুণী মারা গেছে ভেবে নদীর পাড়ে ফেলে চলে যান শাহীন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঘটনার পরের দিন সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ২০০৮ সালে বরগুনা সদর থানায় শাহিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

এ ব্যাপারে আসামিপক্ষের আইনজীবীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Bootstrap Image Preview