Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পিলখানায় নিহতদের স্মরণে যা করবে বিজিবি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৯:৪৪ PM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৯:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহ ১২ বছর পূর্ণ হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে বাহিনীটি।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সেনাদের একটি অংশ বিদ্রোহে সদরদপ্তর পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মারা যায়। পিলখানায় হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাবে বাহিনীটি।

বৃহস্পতিবার নিহতদের সমাধিতে রাষ্ট্রপ্রধান, তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়াও বিজিবি মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। পাশাপাশি বিজিবি সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় কোরআন খতম ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছ। বুধবার বাহিনীটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালকরা নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

দিবসটিতে বিজিবির সব স্থাপনায় বাহিনীর পতাকা অর্ধনমিত থাকবে ও বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ পরবেন।

শুক্রবার বাদ জুমা পিলখানায় বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা সেক্টর মসজিদ ও বর্ডার গার্ড হাসপাতাল মসজিদে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে। এতে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, নিহতদের স্বজন, পিলখানায় কর্মরত কর্মকর্তা, সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরাও এতে অংশ নেবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পর ৫৭টি বিদ্রোহের মামলার বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। আর হত্যাযজ্ঞের বিচার চলে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলায় ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২৫৬ আসামিকে তিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে বেকসুর খালাসও দেয় আদালত। তবে উচ্চ আদালতে এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি এখনও।

Bootstrap Image Preview