Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পণ্যের মান নিয়ে ভাব জমিয়ে ৬৬ জনকে ধর্ষণ করেন ডেলিভারি ম্যান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:৩৭ PM
আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


পেশায় তিনি একজন ডেলিভারি ম্যান। পণ্যের মান নিয়ে মন্তব্য নেওয়ার ছলে প্রথমে নারীদের ফোন করে ভাব জমান তিনি। এরপর ভিডিও কলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি জমিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ। এমন গুরুতর অভিযোগে বিশাল নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে অন্তত ৬৬ জন মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্রেফতারের পর রোববার সে এবং তার সহকারীকে ৫ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

পশ্চিমবঙ্গের হুগলিরকেওটার বাসিন্দা বিশাল বর্মা পেশায় একটি অনলাইন বিপণির ডেলিভারি বয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিশাল পণ্য পৌঁছে দেওয়ার পর ফিডব্যাক নেওয়ার উছিলায় মহিলাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করত। তার পর নানা কৌশলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে ভিডিও কল করে নানা মুহূর্তের ছবির স্ক্রিনশট জমিয়ে রাখত। সুযোগ বুঝে সেই সব ছবি দেখিয়ে নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করত। সম্প্রতি এই ঘটনা পুলিশ জানতে পারে চুঁচুড়ার এক গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে। সেই নারীর অভিযোগ, এমন ফাঁদে ফেলে বিশাল তাকেও ধর্ষণ করেছিল। সেই সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তার গয়নাও হাতিয়ে নেয়। তিনি দাবি করেন বিশাল সেই সময় তাকে জানায়, যে তিনি তার ৬৬তম ‘শিকার’।

শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে চুঁচুড়া থানার পুলিশ কর্মকর্তা তীর্থসারথি হালদারের নেতৃত্বে একটি দল ব্যান্ডেলের কেওটার ত্রিকোণ পার্কে হানা দেয়। বিশালের বাড়িতে ঢুকে তাকে এক মহিলার সঙ্গে দেখতে পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেই নারীকেও বিশাল একইভাবে ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে। বিশালের মোবাইল এবং তার কাছে থাকা বেশ কিছু মাইক্রোচিপে অসংখ্য মহিলার ছবি এবং ভিডিও পেয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের দাবি, সে যৌনকর্মীদেরও নিয়ে আসত। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশাল আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে এবং তার পায়ের কাছে হাতজোড় করেছেন এক মহিলা। যদিও বিশালের দাবি সেটা আসল আগ্নেয়াস্ত্র নয়।

বিশালের মোবাইলে পাওয়া ছবি দেখে সুমন মণ্ডল নামে তার এক সহোযোগীর সন্ধান পায় পুলিশ। সুমন পেশায় রংমিস্ত্রি। তিনি কেওটার বাসিন্দা। সুমনের পরিবারের সদস্যদের অবশ্য দাবি, এসব তারা কিছুই জানতেন না। এ নিয়ে বিশালের ঘাড়েই দোষ চাপাচ্ছেন তারা।

Bootstrap Image Preview