‘একটি মেয়েকে ভালোবাসলে ধর্ষণ থাকবে না’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘চলুন আমরা একজন নারীকে ভালোবাসি। সে যে নারীই হোক না কেন। কবি নজরুল বলেছেন, মানুষকে ভালোবাসতে। কোন সে মানুষ? হিন্দু নয়, বৌদ্ধ নয়, মুসলিম নয়, চাড়াল নয়, খ্রিস্টান নয়, একজন মানুষ। চলুন আমরা একটি নারীকে ভালোবাসি। নারী আমার বোন, নারী আমার মা, আমার জায়া, আমার বান্ধবী, আমার মেয়ে। একটি মেয়েকে ভালোবাসলে ধর্ষণ থাকবে না। ধর্ষণের কথা ভাবলে লজ্জা লাগে। নারী নির্যাতনের বিষয়গুলো ভাবতে গেলে আমার খুব কষ্ট লাগে।’

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে 'উইমেন লিডার্স' প্রজেক্টে নতুন সদস্য বরণের অনলাইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

উপাচার্য বলেন, পরিবারে যদি আমরা একটি করে নারী নেতৃত্ব তৈরি করতে পারি, তবেই সোনার বাংলায় সকল বৈষম্য-বিশৃঙ্খলা দূর হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এএইচএম আহসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, রেডিও তেহরানের সিনিয়র সাংবাদিক গাজী আব্দুর রশিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন পিস ক্যাফের চিফ মেন্টর মো. অলিউল্লাহ, সেন্টার ফর পিস এন্ড জাস্টিস প্রকল্পের সমন্বয়কারী জিয়া উদ্দিন, প্রজেক্ট পরিচালক মো. বাকীবিল্লাহসহ প্রকল্পে জড়িত শিক্ষার্থীরা।

এই প্রজেক্টের আওতায় ৫০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থী এবং ২০ জন স্বেচ্ছাসেবকগণকে বিভিন্ন আয়োজন ও দিক নির্দেশনার মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট অরাজকতা, সামাজিক অসঙ্গতি, ঘৃণা-বিদ্বেষ পূর্ণ কর্মকাণ্ড, নারীর প্রতি সহিংসতা, অসহিষ্ণুতা প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত নেটওয়ার্ক ফর রিলিজিয়াল অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল পিসমেকার্সের আওতায় ‘আহা' (অ্যাওয়ারনেস উইথ হিউম্যান অ্যাকশন) প্রজেক্টের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘উইমেন লিডার্স' প্রজেক্টটি। যাতে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত আছে ‘ফিন চার্চ এইড', ওয়ার্ল্ড ফেইথ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ, সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্লওয়াইডসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. বাকীবিল্লাহ।