সরকার সবার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে। প্রথমদিকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকলেও এখন সবাই আগ্রহভরে টিকা নিচ্ছে। আমরা তিন কোটি ডোজ টিকা কিনে রেখেছি। তাছাড়া ভারত ২০ লাখ ডোজ দিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দেশও দিতে চাচ্ছে। আমরা সবগুলো নেব, যাতে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সবার জন্য এই টিকার ব্যবস্থা করতে পারি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা নেয়ার ব্যাপারে অনেকের ভেতরে একটু দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে প্রথমে সাহসী ভূমিকা রাখেন কুমুদিনী নার্সিং ইনস্টিটিউট হতে পাশ করা কুর্মিটোলা হাসপাতালের নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। তাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এখন আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা নেই। এখন সবাই খুব আগ্রহ ও উৎসাহ সহকারে টিকা নিচ্ছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন প্রথম টিকা নেন সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে গণটিকাদান শুরু হয়। যত দিন যাচ্ছে টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড়ও তত বাড়ছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রথম সাত দিনের মধ্যে আমরা দুই হাজার ডাক্তার, ছয় হাজার নার্স ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছি। ভবিষ্যতে আরো নিয়োগ দেয়ার পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি, যাতে দেশের মানুষ চিকিৎসা পায়।
টিকা পাওয়ার পরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, মাস্কটা পরে থাকতে হবে, হাত ধুতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ভ্যাকসিন আমরা দিয়েছি, দিচ্ছি। সাথে সাথে যেন এই স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে চলে সকলে। তাহলে আমরা আশা করতে পারবো যে, আমাদের দেশ থেকে এই প্রাদুর্ভাব পুরোপুরি চলে যাবে।
মেডিকেল গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে রিসার্চের সুযোগ খুবই কম। বিশেষ করে মেডিকেল সায়েন্সের রিসার্চ খুব বেশি একটা হচ্ছে না। এটা হওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন।
সরকার প্রধান উল্লেখ করেন যে, ক্যান্সারের প্রকৃত ডায়াগনোসিস অথবা আমাদের পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ুতে এই ক্যান্সার কীভাবে বিস্তার লাভ করে, সে বিষয়ে রিসার্চ করা আমাদের জন্য একান্তভাবে অপরিহার্য।