Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েও আলোচনায় তিনি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২১, ০৫:০৭ PM
আপডেট: ৩০ জানুয়ারী ২০২১, ০৫:০৭ PM

bdmorning Image Preview


দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন সিলেট মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ অধ্যায়নরত ও সিলেট আইন কলেজের ফাইনাল বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং তরুণ সমাজ সেবক মোহাম্মদ কামাল হোসেন চৌধুরী। ইতিমধ্যেই ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাক্তিগত ইমেজ তৈরি করে তুলেছেন তিনি। নির্বাচনী মাঠে তরুণ ও সর্ব কনিষ্ঠ প্রার্থী হিসাবে সাড়া জাগানো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কামাল চৌধুরী।

বর্তমান বৈশ্বিক করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে প্রথম যখন দেশের সাধারন মানুষের মাঝে এক আতঙ্কের তৈরি হয়েছিল ঠিক তখনই ইউনিয়নের তৃণমুল পর্যায়ের কর্মহীন হয়ে যাওয়া শ্রমজীবী অসহায় সাধারণ গরিব পরিবারের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কামাল চৌধুরী। শুধু তাই নয় নিজ এলাকার হাটবাজারে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণাসহ বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে হাত পরিস্কার করার সাবান, ডেটল ও বাইরাস ধ্বংস করার জন্য স্প্রে বিতরণ করেছেন তিনি। এসব সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পরিচালনার মাধ্যমে এলাকায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।

কামাল হোসেন চৌধুরী ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুন নূর চৌধুরীর ২য় পুত্র ও দামোধর তপী ও মাহমদ পুর দাখিল মাদ্রাসা এবং পূর্ব পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক ও এলাকার প্রবীণ সালিস ব্যাক্তিত্ব প্রয়াত আলহাজ্ব গৌছ আলী চৌধুরীর ভাতিজা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন কামাল হোসেন চৌধুরী।

এদিকে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি ও স্থানীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের আস্থাভাজন হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পদধারী একাধিক দলীয় সম্ভাব্য চেয়ারম্যন পদ প্রার্থীগণ।

অপরদিকে, দলীয় মনোনয়ন পেতে বিএনপি’র সম্ভাব্য কোন প্রার্থী এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে না থাকলেও দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সিনিয়র নেতাদের সমর্থন আদায়ে ভেতরে ভেতরে কর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে একাধিক বিএনপির প্রার্থী কাজ করে যাচ্ছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে, ইনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে সম্ভাব্য ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যা পদে একাধিক প্রার্থীগনও তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ড পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৮টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এখানের সম্ভাব্য প্রার্থীরা খেলাধুলা ও সামাজিক অনুষ্ঠান গুলোতে অংশগ্রহণ, পোস্টার-ব্যানার ও নিজেদের ছবিসংবলিত নতুন বছরের ক্যালেন্ডার ছাপিয়ে ভোটারদের মাঝে বিলি করছেন। পাশাপাশি ইনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, স্থানীয় পর্যাযের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ গ্রহন করা সহ নিজেদের পক্ষে ভোটারদেরকে কাছে টানতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও কৌশলী হয়ে নিরবে দিন–রাত প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

স্থানীয় পর্যায়ের এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ইউনিয়নের ছোট-বড় হাট-বাজারের চায়ের দোকান গুলোতে সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক ও চুলছেড়া বিশ্লেষণ করছেন সাধারন ভোটররা।

প্রার্থীদের কেউ কেউ উন্নয়নের নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করলেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের এসব তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছেন ভোটাররা। তাঁদের প্রত্যাশা, যতই প্রার্থীদেন চাপ থাকুক না কেন, সৎ, যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে ব্যালেট বিপ্লবের মাধ্যমে সমর্থন দেবে জনগন।

ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ একজন শিক্ষিত তরুণ প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ কামাল হোসেন চৌধুরী সাধারন মানুষের মাঝে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন।

স্থানীয় দামোধর তপী বাজারে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত একাধিক সাধারন মানুষ ও নতুন ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এখনো ইউপি নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি থাকলেও অনেক প্রার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। যদি সুন্দর সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নিবার্চন অনুষ্টিত হয় তাহলে এখানে অব্যশই যোগ্য, সৎ ও অবিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং যারা সব সময় অসহায় গরিব সাধারন জনগনের বিপদে-পাশে থাকবে তাদেরকেই নির্বাচিত করবে ভোটাররা। তবে তাদের মতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখানে নতুন মুখ বিজয়ী হওয়ার আবাস পাওয়া যাচ্ছে তৃণমুল পর্যায়ের ভোটারদের মাঝে।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল হোসেন চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এখনো সাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। শিক্ষা ও যাতায়াত ব্যবস্থায় রয়েছে অনেকটা পিছিয়ে। বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ সমস্যা রয়েছে এখনো। বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারন জনগনের ভোটে নির্বাচিত একাধিক চেয়ানম্যানগন তাদের দীর্ঘ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন রকম অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জনগনের টাকা লুটপাট করেছেন। বিগত দিনে তাদের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির কারনেই এখন জনগন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে তারা। আবার বিগত দিনে কোন কোন নির্বাচিত চেয়ারম্যনগন তাদের অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারনে জনগনের দোরগোড়ায় কাঙ্খিত সেবা পৌঁছে দিতে ব্যর্থতার প্রমান দিয়েছেন। জনগনের ভোটে নির্বাচিত সেই সব চেয়ারম্যনদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও অদক্ষতা এবং ব্যর্থতার কারনেই এখন পর্যন্ত উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে অনেকটা অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছেন আমাদের পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের কয়েক হাজার সাধারন জনগন।

তিনি আরো বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেইসব দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ ব্যাক্তিদেরকে ইউনিয়নের সচেতন জনগন তাদের প্রতিনিধি হিসেব আর দেখতে চায় না। এখানে সকল পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে দক্ষ ও তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন। ইউনিয়নের মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। আগামী নির্বাচনে ইউনিয়নের সাধারন সচেতন নাগরিকগন একজন শিক্ষিত, দক্ষতাসম্পন্ন, যোগ্য ও সৎ ব্যাক্তিকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

কামাল চৌধুরী বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। জনবিচ্ছিন্ন নয়, এখানের সকল শ্রেনী পেশার সাধারন মানুষের দোয়া ও আন্তরিক ভালবাসা এবং তাদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একজন জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি হিসেব জনগনের ন্যায্য অধিকার তাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাকার সাধারন জনগন তাদের পবিত্র আমানত মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে, জনগনের সেবক হিসেবে সততা ও দক্ষতার সাথে নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইউনিয়নের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে সক্ষম হবো বলে আমি আশাবাদী। নির্বাচিত হলে সাধারন জনগনের গুরুদায়িত্ব সতা ও নিষ্ঠার সাথে পালনের মাধ্যমে অসহায় গরিব মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

Bootstrap Image Preview