যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত চাল এর উপরে অতিরিক্ত শুল্কায়নের কারণে আমদানিকৃত (২৩/১/২০২১) তারিখ এর ৩০০ টনের প্রথম চালান ব্যবসায়ীরা ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কেউ চাল আনলোড করে নাই।
রুপালি এজেন্সির ম্যানেজার মিন্নু মিয়া জানান, অন্যান্য স্থলবন্দরে মোটা চাল টন প্রতি শুল্কায়নের মূল্য ৩৭০ টাকা ও চিকন চাল টন প্রতি শুল্কায়নের মূল্য ৪২৫ টাকা। কিন্তু বেনাপোল স্থলবন্দরে মোটা চাল টন প্রতি শুল্কায়ন এর মূল্য ৩৯০ টাকা ও চিকন চাল টন প্রতি শুল্কায়নের মূল্য ৪৩০ টাকা।
এই বৈষম্যের কারণে আমরা চাল আনলোড করা বন্ধ রেখেছিলাম। বর্তমানে কাস্টমস কমিশনারের হস্তক্ষেপে এই বৈষম্য দূর হয়েছে মোটা চাল ৩৭০ টাকা টন প্রতি ও চিকন চাল ৪৩০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত গাড়ি ডেমারেজ বাবদ প্রতিদিন গাড়ি প্রতি ইন্ডিয়ান ২০০০ রুপি ডেমারেজ দিতে হয়েছে এই সমস্ত কারণে বেনাপোল বন্দর থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে অন্য বন্দরের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরের রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে। তবে বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক আমরা পুরোদমে আমদানিকৃত চাল খালাসের ব্যবস্থা করছি।
অপরদিকে সি এণ্ড এফ কর্মচারী মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, জানুয়ারি ২৩ তারিখে ৩০০ মেট্রিক টন চাল ২৫ তারিখে ১০০ টন চাল ২৭ তারিখে ১০০ মেট্রিক টন চাল। সর্বমোট ৫০০ মেট্রিক টন চাল আমাদের আমদানি হয়েছে আগামীতে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের আরো চাল আসবে।