উৎসাহ-উদ্দীপনা আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ৭৩৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুই কেন্দ্র মিলে একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তারা কাজ করবেন।
তিনি আরো বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো চসিক নির্বাচনের সবকটি কেন্দ্রে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এই নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে রেজাউল করিম চৌধুরী ও ধানের শীষ প্রতীকে ডা. শাহাদাত হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই দুই প্রার্থী ছাড়াও আরো পাঁচ প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী। এছাড়া এই নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি নুরুল আবছার জানান, নগরজুড়ে র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে র্যাব সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
সিএমপি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচনে প্রায় ৯ হাজার পুলিশসহ ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ এবং নারী ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।