শেষ ওয়ানডের সকালটা টসে জিতেও জেসন মোহাম্মদ বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কুয়াশামাখা সকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মাঠে শুরুতেই সফল হয় উইন্ডিজ বোলাররা।
ওপেনার লিটনের জন্যও আলজারি জোসেফের পুরনো ফাঁদ। তাতেই ধরা পড়েন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলটা কম গতির ফুলার লেন্থে দিয়ে পরাস্ত করেন লিটনকে। লাইন মিস করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তিনি ফিরে যান শূন্য রানে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক তামিমের সঙ্গী হিসেবে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুও করেন ভালো। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। গত ম্যাচের মত এ ম্যাচেও বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ২০ রানে মায়ার্সের বলে কাটা পড়েন।
এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসান। দুজন মিলে ইনিংস টেনে নিতে থাকেন। গড়েন ৯৩ রানের জুটি। ঘরের মাঠে এক প্রান্ত আগলে রেখে তামিম তুলে নেন ব্যক্তিগত ৪৯তম এবং উইন্ডিজের বিপক্ষে অষ্টম হাফসেঞ্চুরি। তবে এরপর এগোতে পারেননি বেশিদূর। ৬৪ রানেই থমকে যায় তামিমের ইনিংস। জোসেফের বলে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি।
তামিমের বিদায়ের পর সাকিবকে সঙ্গ দিতে নামেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই জুটির ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৩২ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ৩ উইকেট ১৫৩ রান।