Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই পাচারকারী আটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী ২০২১, ০৫:২১ PM
আপডেট: ২৪ জানুয়ারী ২০২১, ০৫:২১ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ সংগৃহীত


বাগেরহাটের শরণখোলায় ১৯ টি হরিণের চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। বাঘের চামড়া উদ্ধারের পর পর ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদসহ স্হানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার সাথে বনবিভাগের উদাসিনতা না হয় সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

চার দিন আগে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়া উদ্ধারের চার দিন পর ১৯ টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে বাগেহাটের শরণখোলা থেকে। এ সময় দুই পাচারকারীকেও আটক করা হয়।

গতকাল শনিবার (২৩ জানুয়ারী) গভীর রাতে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাস স্টান্ড এলাকার মনিরের ঘরের লুকানো পাটাতন থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল চামড়া গুলো উদ্ধার করে। এ সময় এ কাজের সাথে জড়িত আটক দুজন হলো শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মোঃ ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫),পিতাঃ মতিন হাওলাদার,ও বাগেরহাটা সদর উপজেলার ভদ্রাপাড়ার মোঃ মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৮) সে স্থানীয় মোশারেফ শেখের ছেলে। আটককৃত দুজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মনিরের বাসায় এসব হরিণের চামড়া রাখা আছে এবং তা বিক্রির জন্যে মজুদ করা হয়েছে। সংবাদ পাওয়ার পর পর তারা ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ১৯ টি হরিণের চামড়া সহ হাতেনাতে দুজনকে ধরে ফেলে। এ সময় কিনতে আসা অজ্ঞাতনামা আরো কজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিক্রির জন্যে দুটি ব্যগে পাটাতনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল চামড়া গুলা।

পরে আটককৃতদের নিয়মিত মামলা রজুর জন্যে থানায় সোপর্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলার প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এর আগে ১৯ জানুয়ারি রাতে শরণখেলা উপজেলার রায়েন্দর বাজারস্থ একই এলাকা থেকে গাউস ফকির নামে এক চোরাকারবারির কাছ থেকে বন বিভাগ ও র‍্যাব সদস্যদের যৌথ অভিযানে ব্যবসায়ী সেজে বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হয়। এর আগে বড় ধরনের  হরিণের মাংস চালানসহ আটক ও  এতগুলো চামড়া এমনকী বাঘের চামড়া আটকের ঘটনা স্থানীয় পরিবেশ বিদদের নতুন ভাবে ভাবিয়ে তুলছে। স্থানীয়রা দাবী করছে এ ধরনের কর্মকান্ডে বনবিভাগের যোগসুত্র বা তাদের উদাসিনতা থাকতে পারে।

Bootstrap Image Preview