ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বংকিরা গ্রামে নারায়ন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে পুকুর কেটে গ্রামের রাস্তা নষ্ট করে দিচ্ছে। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, ইউএনও বদরুদ্দোজা শুভ এবং এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিধি নিষেধ তিনি মানছেন না। আবার ইউনিয়ন নায়েব পুকুর কাটার খবর গোপন করে যাচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় সাধুহাটী ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মইনুল হোসেন এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করতে ইঁদুর বিড়ালের খেলায় মেতেছেন। তিনি জেলা প্রশাসকের আদেশ বাস্তবায়ন করতে কার্যত ব্যার্থ হচ্ছেন। সাধুহাটী ভুমি অফিসের নায়েব একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিষেধ করেছেন বলে তিনি মিডিয়া কর্মীদের জানান। কিন্তু নারায়ন চক্রবর্তী তার কথা শুনছেন না বলেও আমতা আমতা করে বলেন। কি কারণে পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছে না তা এলাকাবাসীর কাছে পরিস্কার নয়।
জমির প্রকৃত মালিক কমল ও অসিম কুমার অভিযোগ করেন, নারায়ন চক্রবর্তী পরের জমি দখল ও ছব্দুল নামে আরেক কৃষককের ভাল জমি নষ্ট করে পুকুর কেটে যাচ্ছেন। বংকিরা গ্রামের মাটি যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার ইটভাটায়। এতে এলাকার কোটি কোটি টাকার রাস্তা নষ্ট হচ্ছে।
বংকিরা গ্রামের রফিকুল ইসলাম দলু অভিযোগ করেন, শত শত গাড়ি চলার কারণে তার ছাগলের একটি পা ভেঙ্গে গেছে। রাস্তার ধুলো উড়ে ঘরবাড়ি ভরে যাচ্ছে। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অবৈধ ভাবে মাটি কাটা বন্ধ না হলে সংঘর্ষ ও মারামারির আশংকা রয়েছে।