Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

উচ্চশিক্ষিত ছেলের উপর অভিমানে জীবন দিলেন বৃদ্ধ বাবা-মা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারী ২০২১, ০১:৫০ PM
আপডেট: ১১ জানুয়ারী ২০২১, ০১:৫০ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ সংগৃহীত


উচ্চশিক্ষিত ছেলে হয়েও সম্প্রতি হোম ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করেছিলেন দিব্যেন্দু সরকার। ছেলের এমন কাজ মেনে নিতে পারেননি বৃদ্ধ বাবা-মা। তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন সেই বৃদ্ধ দম্পতি। এমন করুণ ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির কোন্নগরের এস সি চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। গত রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ।

৭০ বছর বয়স্ক দীপক সরকার এবং তার স্ত্রী ভবানী সরকার দুজনেই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। দোতলার বারান্দায় পাওয়া যায় ভবানী সরকারের দেহ। দীপক সরকারের দেহ ছিল ঘরে। পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করেছেন ওই দম্পতি। তার পেছনে পারিবারিক ‘সংকট’ এর কথা তুলে ধরছেন তদন্তকারীরা।

এদিকে তাদের প্রতিবেশীরা জানান, দীপক এবং ভবানীর সন্তান দিব্যেন্দু লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন। মাস্টার্স করেও চাকরি পাননি। পরবর্তীকালে তিনি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। কিন্তু লকডাউনের জেরে সেই ব্যবসায় ধাক্কা খান দিব্যেন্দু। এরপর বাড়ি বাড়ি খাবার দেওয়ার ব্যবসাও শুরু করেন। কিন্তু সেই ব্যবসাও জমেনি। হোম ডেলিভারির ব্যবসা নিয়ে আপত্তি ছিল দীপক এবং ভবানীর। ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দীপক এবং ভবানী মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলেই মনে ধারণা করছেন তারা।

দিব্যেন্দুর প্রতিবেশী ঋষিকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ছেলেটি উচ্চশিক্ষিত। চাকরি না পাওয়ায় হোম ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করেছিল। তাতে হয়তো ওর বাবা-মায়ের অহংবোধে আঘাত লেগেছিল।

পুলিশের ধারণা, শনিবার রাতে ওই দম্পতি গলায় দড়ি দেন। তবে এর পিছনে ভিন্ন কারণও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দিব্যেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা

Bootstrap Image Preview