দু’জনেই তাঁকে ভালোবাসেন। দু’জনেই নাছোড়। বিয়ে করলে তাঁকেই করবেন। তিনিও দু’জনের মধ্যে এক জনকে বেছে নিতে পারছিলেন না। তাই একই মণ্ডপে দু’জনকেই বিয়ে করলেন যুবক। তিন জনের নাম–পরিচয় দিয়ে কার্ডও ছাপানো হল। ছত্তিশগড়ের ঘটনা।
যুবকের নাম চান্দু মৌর্য। তিনি পেশায় কৃষক।চান্দু মৌর্য নামে এক ব্যক্তির প্রেমে পড়ে দুটি মেয়ে। তারপরে তারপরে দুই মেয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। একই মন্ডপে হয় তাদের বিয়ে।
চান্দু একজন কৃষক। আগে চান্দু সুন্দরী নামের একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন, তারপরে সে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ঠিক এক মাস পরে, তিনি হাসিনা নামে অন্য একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন এবং তাঁকেও বাড়িতে নিয়ে আসেন।
সকলে ভেবেছিলেন, এতে হয়তো চটে যাবেন সুন্দরী। নাহ্, তেমন কিছুই হয়নি। বরং হাসিনাকে মেনে নিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, তিনজন একসঙ্গে সহবাসও করেছেন। প্রায় এক বছর একসঙ্গে থাকার পরে একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিন জন। তাঁদের পরিবারও মেনে নিয়েছে। তিন জনেক নাম লিখে কার্ড ছাপানো হয়েছে।
৩ জানুয়ারি ধুমধাম করে বিয়ে হল সুন্দরী–চান্দু–হাসিনার। এক সঙ্গে দুই তরুণীর হাত ধরলেন যুবক। নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় ৬০০ জন। সবাই কানাঘুষো করলেও তিন জন কিন্তু দারুণ খুশি।