চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ৫টি উন্নত মানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এস-৪০০ কিনতে যাচ্ছে ভারত। ২০১৮ সালের করা সে চুক্তি অনুযায়ী এগুলোর আর্থিক মূল্য পাঁচ বিলিয়ন ডলার। তবে রাশিয়ার সাথে ভারতের এই অস্ত্র চুক্তিকে কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
এবার ভারতকে এক প্রকার নিষেধাজ্ঞার হুমকিই দিয়ে বসেছে দেশটি। সেই পদক্ষেপেই এক ধাপ এগিয়ে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করছে মার্কিন কংগ্রেসের কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস। এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনে তাহলে আগামী দিনে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে নয়াদিল্লিকে। তবে মার্কিন এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই চুক্তি অনুযায়ী প্রথম কিস্তিতে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার রাশিয়াকে দিয়ে দিয়েছে ভারত।
২০২০ সালের নভেম্বরে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমস্ত রকমের প্রতিরক্ষা চুক্তি একে একে কার্যকর করে চলবে দেশটি।
তবে ভারত প্রথম দেশ নয় যার বিরুদ্ধে এই এস-৪০০ কেনার জন্য নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। ভারতের আগে রাশিয়ার কাছ থেকে এই অস্ত্র কেনে তুরস্ক। যার ফলে ইতিমধ্যে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে ন্যাটো সদস্য সেই দেশকে। তবে আমেরিকার এই রিপোর্টটিকে খুব বেশি পাত্তা দিতে নারাজ ভারত। মূলত মস্কোর সঙ্গে পরীক্ষিত বন্ধুত্ব বজায় রেখেই আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চায় নয়াদিল্লি। তাছাড়া, কৌশলগত কারণে এশিয়ায় চীনকে রুখতে ভারতের ওপরই ভরসা রাখতে হবে ওয়াশিংটনকে।
এইদিকে নিজ দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতির কারণে পূর্ব নির্ধারিত ভারত সফর বাতিল করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর রয়টার্স।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
ওই মুখপাত্র বলেন, সকালেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করে নিজের অপারগতার কথা জানিয়েছেন বরিস জনসন।
এদিকে, নতুন ধরনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের মুখে যুক্তরাজ্যজুড়ে ছয় সপ্তাহের লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। এ সময় সার্বিক বিষয় তদারকি করতে প্রধানমন্ত্রীকে দেশেই থাকতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে ভারতে কৃষকরা বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। কয়েকদিন আগে, তাদের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ভারত সফরে না আসার ব্যাপারে আহ্বান জানানো হয়েছিল।