বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রায় ২০০ মিটার সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) এ সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়ার দাবি করে ভারতীয় পুলিশ। ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার বালিয়ায় পাচার, অপহরণসহ আন্তর্জাতিক চোরাচালানে সুড়ঙ্গটি ব্যবহার হয় বলে তথ্য পেয়েছে করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রবিবার দুষ্কৃতীরা নিলামবাজার থানার শিলুয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেনকে তুলে নিয়ে তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। বাংলাদেশের ফোন নম্বর দেখে চিন্তা বেড়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। পুলিশের পরামর্শে অপহরণকারীদের পাঁচ লাখ টাকা দিতেই সম্মত হয় পরিবার। কাউকে না জানিয়ে মুক্তিপণের টাকা জমা করতে বলা হয় পার্শ্ববর্তী নয়াগ্রামের এলিমুদ্দিনের কাছে।
করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার ঝাঁ জানান, গত বুধবার এলিমুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয় জোর তল্লাশি। এতে সুড়ঙ্গের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে আশঙ্কায় অপহরণকারীরা দিলোয়ারকে ছেড়ে দেন। ফিরে এসে তিনিই পুলিশকে সুড়ঙ্গের কথা জানান।
তিনি আরও জানান, দিলোয়ারের তথ্য মতে গিয়ে দেখা যায়, জঙ্গলঘেরা এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ। দেখতে সাধারণ গর্তের মতোই। বাইরে থেকে বিষয়টি কল্পনা করা কঠিন। বাংলাদেশ প্রান্তেও ওই একই চেহারা। ওই পথে দুষ্কৃতীরা নিয়মিত যাতায়াত করে। চলে নিয়মত পাচারসহ বাণিজ্যও।
পুলিশ সুপার জানান, তৎক্ষণাৎ সুড়ঙ্গের ভারত-মুখ বন্ধ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।