রাজধানীতে নতুন বছর উদযাপনে উন্মুক্ত স্থানে কোন অনুষ্ঠান আয়োজনে ছিলো কঠোর নিষেধাজ্ঞা। রাত বারোটায় পটকার শব্দে প্রকম্পিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা, পাশাপাশি আতশবাজির ঝলকে রঙ্গিন হয়ে উঠেছিল ঢাকার আকাশ।
শুধু উন্মুক্ত স্থান নয় এবার নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল বাসা-বাড়ির ছাদও। কিন্তু অনেকেই ছাদে বারবিকিউ পার্টিসহ পারিবারিক নানা আয়োজন করেছেন নতুন বছরের প্রথম মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য, নির্দেশনা দিয়েছিল ডিএমপি।
ঢাকাসহ সারাদেশে গত কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে বা উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন ঠেকাতে উদ্যোগ নেয় পুলিশ। ফলে উচ্চবিত্তরা তারকা হোটেলগুলোকে নিয়ে নানা আয়োজনে অংশ নিতে পারলেও মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য ঘরের বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। এ কারণে গত কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ছাদ কেন্দ্রিক আয়োজন। এবার তাতেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
‘রাজধানী জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার ছিলো। প্রকাশ্যে স্থানে কোন ধরণের জমায়েত ছিলো না। তবে সব ভবনের ছাদে গিয়ে এগুলো বন্ধ করা সম্ভব না। যেখান থেকে অভিযোগ এসেছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,' বলে জানান ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল।