Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দুটি কিডনি কেটে নেয়ায় চিকিৎসক ও তদন্তকারীকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নোটিশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৪৮ AM
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৪৮ AM

bdmorning Image Preview


বিডিমর্নিং ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এক রোগীর ভালো কিডনি কেটে নেয়ায় চিকিৎসক ও তদন্তকারীকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।

তিনি জানান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুই চিকিৎসককে ৭৫ লাখ টাকা এবং ময়নাতদন্তকারীকে ২৫ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে কিডনি সমস্যা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন রওশন আরা। চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য তার বাম কিডনি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাম কিডনির সঙ্গে কেটে ফেলা হয় ডান কিডনিও।

এর কিছুদিন পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে ১টি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর দেখা যায়, তার ২টি কিডনির একটিও নেই। এর ২মাস পর তার মৃত্যু হয়।

নানা জটিলতার ২ বছর পর গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে রওশন আরার ছেলে চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদার। মামলায় বিএসএমএমইউ এর ইউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, ডা. আল মামুন, ডা. ফারুক ও ডা. মোস্তফা কামালকে অভিযুক্ত করা হয়।

চিকিৎসকের অবহেলার কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে সেই নির্মাতা ওই সময় ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন: ‘পাষাণ ডাক্তারের নির্মমতার কাছে জীবনযুদ্ধে হেরে গেছেন আমার মা। আমাদের ৬ ভাই বোনকে বিচারহীনতার নরকে ফেলে রেখে অভিমানে এইমাত্র ওপারে চলে গেলেন আমার মা।’

রফিক শিকদারের অভিযোগ, স্বাভাবিক কিডনি ভুল করে অপসারণ করে তার মাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ৪ চিকিৎসক। ২০১৮ সাল থেকে এই অভিযোগ তিনি করলেও সম্প্রতি মামলা নিয়েছে পুলিশ। গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ বিষয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানিয়েছেন রফিক শিকদার।

রফিক শিকদার বলেন, ‘আমার মাকে হত্যা করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের জন্য মামলা করেছি। ওসি সাহেব বলছেন তিনি আসামিদের ধরতে চেষ্টা করছেন। অথচ আজও আসামিরা কেউ ধরা পড়েনি।’

Bootstrap Image Preview