Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ই-পাসপোর্টে ভোগান্তি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:২১ AM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:২১ AM

bdmorning Image Preview


উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে অবশেষে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ই-পাসপোর্টের কারিগরি মান বাড়লেও দক্ষ কর্মী না থাকায় যেমন ভোগান্তিতে ব্যবহারকারীরা ঠিক তেমন আবেদনকারীদের দক্ষতা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘ই-পাসপোর্টের সফটওয়্যার, ছবি তোলা, মোবাইলে আবেদন, সঠিক সময়ে আবেদন ডেলিভারি না দেয়া, অধিকাংশ আবেদনকারীর ই-পাসপোর্টের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না জানা এবং অযথা বিভাগীয় ও আঞ্চলিক অফিসে ভিড় করায় নানা চাপে থাকতে হয়।’

অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘প্রজেক্টটি নতুন। কর্মীরা আস্তে আস্তে দক্ষ হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা হচ্ছে। দ্রুত সংকট কেটে যাবে।’

সূত্র জানায়, ‘অনেকে মোবাইল ফোন থেকে আবেদন করার চেষ্টা করেন। এতে সফটওয়্যারে সমস্যা দেখা দেয়। ই-পাসপোর্ট করার জন্য যে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে তাতে রাজধানীতে যে থানাগুলো রয়েছে সেসব থানার নাম দেয়া হয়েছে। কিন্তু, পরে বড় থানা ভেঙে নতুন একাধিক থানা করেছে কর্তৃপক্ষ। সেসব নতুন থানার নাম সফটওয়্যারে না থাকায় আবেদনকারী যখন নতুন থানার নাম দিচ্ছেন তখন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ই-পাসপোর্টের কর্মচারীদের। কারণ, সফটওয়্যারে একটি ডট বদলানোও কঠিন।’

সূত্র জানায়, ‘ অনেকে আবেদন করার সময় ইন্টারনেট সমস্যা দেখা দেয়। এতে আবেদনে সমস্যা তৈরি হয়। আবার অনেক আবেদনকারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আবেদন করেন। কিন্তু, সেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের সিস্টেমে প্রবেশ করা যায় না। আবেদনকারী কারও কারও জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা এক স্থানে। কিন্তু, আবেদন করেছেন অন্যস্থান থেকে। এ ছাড়াও ই-পাসপোর্টের মেশিনে বারকোডের প্রিন্টে কালি না পড়ায় সেগুলো মেশিন রিড করতে পারছে না। অনেকের ১০ আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট না হওয়ায় সেগুলো মেশিন রিড করতে না পারায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ সবার প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন, যেসব আবেদনকারী ই-পাসপোর্টের আবেদন করবেন তারা যাতে কম্পিউটারে আবেদন করেন।’

ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান জানান, ‘এরই মধ্যে দেশের বিভাগীয় ও পুরনো ১৯টি জেলার পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে দেশজুড়ে পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা করছি আমরা। চলতি মাসে সম্ভব না হলেও আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে দেশের সব পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু করা হবে।’

তিনি আরও জানান, ‘ই-পাসপোর্ট দেওয়ার সক্ষমতা বেড়েছে। প্রতিদিন ২৫ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বাড়ছে পাসপোর্ট অফিসের সংখ্যা। গত সেপ্টেম্বরে ৩৩টি পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছিল। গত কয়েক দিনে আরো বেড়ে বর্তমানে ৪৩টি পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে।’

গত ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ই-পাসপোর্টের আবেদন নেওয়া হচ্ছে রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে। তারপর শুরু হয় ক্যান্টনমেন্ট, সচিবালয়সহ রাজধানীর সব পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট সেবা। করোনার কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সব কার্যক্রম বন্ধ হলেও গত সেপ্টেম্বর থেকে আবার পুরোদমে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

Bootstrap Image Preview