বিডিমর্নিং ডেস্কঃ মশার কামড় বেশ যন্ত্রণাদায়ক। স্থানটিতে চুলকানি হওয়ায় লাল হয়ে ফুলে যায়। একদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনার জ্বর, অন্যদিকে মশাবাহিত ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ছড়ানোর আতঙ্ক। ঘরে-বাইরে, মাঠে-ঘাটে মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ মানুষ।
মশার কামড়কে হেলাফেলায় ছেড়ে দেয়া ঠিক নয়। দরজা, জানালা বন্ধ করে রাখলেও কোন না কোন ফাঁক ফোকর দিয়ে মশা ঘরে ঢুকবেই। আর সুযোগ পেলেই রক্ত খাওয়া শুরু। বিষাক্ত মশার কয়েলের ধোঁয়া, ফ্লাইং ইনসেক্ট কিলার স্প্রে আর মশারির ওপরই শেষ ভরসা মানুষের।
মশার কাছে জিম্মি সবাই। বিকেল, সন্ধ্যা ও ভোরেই মশার উৎপাত বেশি। দরজা, জানালা বন্ধ করে মশার কয়েল জ্বালালে কিছু মশা মেঝেতে পড়ে থাকে। কিছু সময় পর আবার মশার উৎপাত শুরু। স্প্রে দিলে কেয়ারই করে না মশা। একসময় মশা সাইরেন বাজাত, গান শোনাত। এখন ডাইরেক্ট অ্যাকশন। শরীরের যেখানে কাপড় থাকে না সেখানেই হুল ফুটায়। এত বিষ, সঙ্গে সঙ্গে ফুলে যায়।
মশা থেকে বাঁচতে ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, নির্মাণাধীন ভবন, ডাবের খোসা, ফেলে রাখা টায়ারসহ কোথাও যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। স্বচ্ছ পানিতে বংশ বিস্তার করছে এডিস মশা। বাসা বাড়ির ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে। সম্ভব হলে সেপটিক ট্যাংকে ২৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেল সাবধানে ঢেলে দিতে পারেন ভবন মালিকরা।