Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৃত্যুর পরদিনই হাটহাজারীতে আল্লামা শফীর পুত্র মাদানীর পদে বাবুনগরী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫২ PM
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫২ PM

bdmorning Image Preview


আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পরদিনই আবারো হাটহাজারী মাদ্রাসার কমিটিতে ফিরলেন জুনাইদ আহমেদ বাবুনগরী৷ তাকে শায়খুল হাদিস ও শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ কদিন আগেও এই পদে ছিলেন আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী৷ 

হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়েছে।

মাদ্রাসাটির মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফীর দাফনের পর আজ শনিবার রাতে মাদ্রাসাটির শূরা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। এ দিকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসাটির প্রধান শায়খুল হাদীস ও নাজিমে তালিমাতের (শিক্ষা পরিচালক) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া তিন পরিচালক হলেন, শিক্ষক মুফতি আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ আহমদ ও মাওলানা ইয়াহিয়া। গত ১৭ জুন জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে শেখ আহমদকে সহকারী পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আর শিক্ষা পরিচালকের পদে ছিলেন আহমদ শফীর ছোট ছেলে আনাস মাদানি। ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে গত বৃহস্পতিবার আনাস মাদানিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

শনিবার আহমদ শফীর মরদেহ দাফনের পরই শূরা কমিটি বৈঠকে বসে৷ বৈঠক শেষে শূরা সদস্য সালাহউদ্দিন নানুপুরী বলেন, ‘‘আজকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ দু'টি সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ প্রথমটি হল আগামী শূরা বৈঠক পর্যন্ত তিন জনের একটি কমিটি করা হয়েছে, তারা মাদ্রাসা পরিচালনা করবেন৷ এই কমিটিতে আছেন মুফতি আব্দুস সালাম, মাওলানা এয়াহিয়া ও মাওলানা শেখ আহমেদ৷ আর বাবুনগরীকে শায়খুল হাদিস ও শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷’’

কতদিন পর পরবর্তী শূরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘৬ মাসের মধ্যে শূরা বৈঠক করার বাধ্যবাধকতা আছে৷ এখন যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা যাদি ভালো করেন, তাহলে তাদেরই পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হবে৷’’ এই বৈঠকে ১২ জন শূরা সদস্যের মধ্যে ৮ জনই উপস্থিত ছিলেন বলে জানান এই শূরা সদস্য৷

বেশ কিছুদিন ধরে হেফাজতের আমির আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরীর বিরোধ চলছিল৷ এই দ্বন্দ্বের ফলে গত ১৭ জুন জুনায়েদ বাবুনগরীকে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়৷ তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক শেখ আহমেদকে৷ তিনি হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত৷ পরে বাবুনগরীর ভাগিনা মাদ্রাসার শিক্ষক আনোয়ার শাহকে মাদ্রাসা থেকে এক মাস আগে বের করে দেওয়া হয়৷ সবকিছু মিলিয়ে বাবুনগরীর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন৷ তাদের অভিযোগ, আহমদ শফী বয়স্ক হওয়ায় তাকে ভুল বুঝিয়ে তার ছেলে আনাস মাদানী এসব কাজ করিয়েছেন৷

গত বৃহস্পতিবার শূরা কমিটির বৈঠকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন আহমদ শফী৷ তার ছেলে আনাস মাদানীকেও শিক্ষা সচিবের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়৷ ঠিক একদিন পরই সেই পদে ফিরলেন আগে পদচ্যুত হওয়া বাবুনগরী৷

সালাহউদ্দিন নানুপুরী বলেন, ‘‘আজকের বৈঠকে হেফাজতে ইসলাম নিয়ে কোন ধরনের আলোচনা হয়নি৷ এটা পৃথক সংগঠন৷ শিগগিরই তারা বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন৷’’ আগামী মাসেই হেফাজতে ইসলামীর কাউন্সিল হতে পারে বলে জানা গেছে৷

Bootstrap Image Preview