প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দুনিয়া। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান। দিন যত গড়াচ্ছে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের মাঝেও বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এর মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে গুজব। এসব গুজবে মানুষ শুধু বিভ্রান্তই হচ্ছে না, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে করোনা মোকাবিলার সব প্রচেষ্টাও।
তাই গুজব প্রতিরোধ এবং মানুষকে ঘরমুখী করতে সচেতনতামূলক ডিজিটাল ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে 'ডন্স টিম'। তারা চালু করেছে ডিজিটাল ফ্রেম, যেখানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে গুজব শেয়ার থেকে বিরত থাকতে এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে করতে নিজ গৃহে অবস্থান এর আহ্বান করা হচ্ছে।
তাদের এই ডিজিটাল সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইকে স্বাগত জানিয়েছে চলচিত্র শিল্পী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষজন।
সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন এর পোস্টার নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে গুজবে কান না দিতে আহ্বান করেন, মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, শাহরিয়ার নিশান, ভিপি নুর, ডেইজি সারোয়ার, শামিম হাসান সরকার, নিশাত নাওয়ার, নজরুল রাজ, সনজিত চন্দ্র দাস, ইলিয়াস হোসাইনসহ অনেকেই। পাশাপাশি তারা ডন্স টিমের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
এ ব্যাপারে ডন্স টিমের বিভাগীয় প্রধান এইচ সোহাগ বিডিমর্নিং কে জানান, ডন্স টিম এর উদ্দেশ্যেই মুলত দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে। আমরা যখন পর্যালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম দেশের একশ্রেণীর মানুষ করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সাধারণ মানুষজনও সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা করোনা প্রতিরোধে সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অমান্য করে বিভিন্ন উদ্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিচ্ছে। এর ফলে দেশের করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা চরম হুমকির মুখে পড়েছে । তাই মানুষকে সচেতন করতে আমরা এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালু করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই ক্যাম্পেইনে হাজারেরও অধিক ব্যানার তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যার পৌঁছে গিয়েছে ২০ লক্ষেরও অধিক মানুষের কাছে ।
উল্লেখ্য, 'ডন্স টিম'র এই ডিজিটাল ব্যানার তৈরিতে কাজ করেছে অভি জামানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল ।