Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রং ফর্সাকারী পণ্যের বিজ্ঞাপন দিলে ৫ বছর জেল, ৫০ লাখ অর্থদণ্ড

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৩:১৩ PM
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৩:১৩ PM

bdmorning Image Preview


এই ক্রিম মাখলেই ফর্সা হবেন আপনি, ওই ক্রিম রোধ করবে বার্ধক্য। কিংবা, ওমুক ওষুধ খেলে বাড়বে যৌন ক্ষমতা। এমন অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন বন্ধে নতুন আইন হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। এমন বিজ্ঞাপন প্রচার কিংবা প্রকাশে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ রুপি জরিমানার আইন করা হচ্ছে। 

দেশটির স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এ ধরনের কথিত ‘জাদুকরী পণ্যে’র বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে (আপত্তিজনক বিজ্ঞাপন আইন, ১৯৫৪) একটি খসড়া সংশোধনীর প্রস্তাব করেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা যায়। 

এই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে প্রচারমাধ্যমে এমন কিছু বিজ্ঞাপন দেখা যায়, যেখানে ‘জাদুকরী’ ওষুধে যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়। অনেক বিজ্ঞাপনে প্রসাধনী মাখলে ত্বক ফর্সা হওয়ার দাবি করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে নারীদের বন্ধ্যাত্ব ঘোচানো, অকালে বার্ধক্য ঠেকানো, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর কথাও বলা হয়। 

কিন্তু এ ধরনের কোনো ওষুধ বা প্রসাধনীর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। রোজ এসব চিত্তাকর্ষক বিজ্ঞাপন দেখে ফাঁদে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিকার হন প্রতারণার। আর তাই, এসব অতিরঞ্জিত বুলির বিজ্ঞাপন দেখালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।

এই প্রস্তাবে বলা হয়, ওষুধ বা প্রসাধনী কিংবা এ জাতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপনে ৭৮টি তালিকাভুক্ত রোগ-ব্যাধির নাম যেন না থাকে। বিদ্যমান আইনে এমন অতিরঞ্জিত কথা বিজ্ঞাপন প্রচার করলে জরিমানাসহ ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় মনে করছে, এই লঘুশাস্তির মাধ্যমে এমন প্রতারণা ঠেকানো যাচ্ছে না।

যে কারণে প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়, যৌন ক্ষমতা বর্ধক ওষুধ, ফর্সা করার ক্রিম, বন্ধ্যাত্ব ঘোচানোর ওষুধ, এইডসসহ এ জাতীয় রোগের ওষুধের বিজ্ঞাপনে বাড়াবাড়ি বন্ধ না করলে কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হবে। এমনকি এসব বিজ্ঞাপনে কোনো তারকা অংশ নিলে তাকেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে। 

প্রথমবার এমন অপরাধ করলে গুণতে হবে ১০ লাখ রুপি জরিমানা কিংবা দুবছরের কারাদণ্ড, অথবা উভয়দণ্ড। পরেরবার একই ধরনের কাজ করলে কারাদণ্ড হতে পারে পাঁচ বছর পর্যন্ত, অর্থদণ্ড হতে পারে ৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত। 

Bootstrap Image Preview