Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাশ্মীরে গাইডেড ট্যুরে আপত্তি, মোদীর আমন্ত্রণ ফেরাল ইউ’এর ১৭টি দেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী ২০২০, ১১:৪৭ AM
আপডেট: ০৯ জানুয়ারী ২০২০, ১১:৪৭ AM

bdmorning Image Preview


ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে কোনওরকম ‘পাহারা দেওয়া সফর’ বা ‘গাইডেড ট্যুর’ করতে তারা কাশ্মীরে যেতে রাজি নয়। বরং পরে জম্মু-কাশ্মীরে তাঁরা আসবেন বলে জানিয়েছেন। নিজেদের ইচ্ছেমতো কাশ্মীরের লোকজনের সঙ্গে ওই রাষ্ট্রদূতেরা কথা বলতে চান।

জম্মু-কাশ্মীর সফরে আসছেন না ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত। কেন্দ্রীয় সরকারের আমন্ত্রণে ৯ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে আসার কথা ছিল বিদেশি প্রতিনিধি দলটির। শেষ মুহূর্তে দু’দিনের এই সফরে না-আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত।

একটি সূত্রে খবর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে কোনওরকম ‘পাহারা দেওয়া সফর’ বা ‘গাইডেড ট্যুর’ করতে তারা রাজি নয়। বরং পরে জম্মু-কাশ্মীরে তাঁরা আসবেন বলে জানিয়েছেন। নিজেদের ইচ্ছেমতো উপত্যকার লোকজনের সঙ্গে ওই রাষ্ট্রদূতেরা কথা বলতে চান।

সূত্রের খবর, শুধু জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ নন, ফারুক এবং ওমর আবদুল্লা আর মেহেবুবা মুফতির সঙ্গেও দেখা করতে চান তাঁরা। গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের এই তিন নেতা।

৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ হয় জম্মু-কাশ্মীরে। উপত্যকায় বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার হওয়ার প্রায় তিন মাস পর অক্টোবরে জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। সেবার সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলেন প্রতিনিধিরা। তবে সবটাই ছিল একটা ‘গাইডেড ট্যুর’। কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থেকেই আমজনতার সঙ্গে কথা বলতে হয় তাঁদের। এবারের সফরেও তেমনটাই হওয়ার কথা ছিল বলে খবর। তবে এত গোপনীয় ভাবে কাশ্মীরের নাগরিকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি নন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরা। যদিও লাতিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার তরফে প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার এই দু’দিনের সফরে যোগ দেবেন বলে খবর।

এর আগে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি কী, তা জানার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৫ জনের এক প্রতিনিধি দল গতবছর অক্টোবর মাসে জম্মু-কাশ্মীরে আসে। সেসময় তাঁদের সাক্ষাত্‍ হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও। তবে সে সময় বিরোধীদের প্রায় সকলেই বলেছিলেন যে, ‘কেন্দ্রীয় সরকার দেশের নেতাদের জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকতে দিচ্ছে না, গুলাম নবি আজাদের মতো বর্ষীয়ান নেতাকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহেবুবা মুফতিকে— অথচ বেছে বেছে কিছু জায়গা ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের সামনে দেখানো হচ্ছে, এটা খুবই অপমানজনক এবং হতাশার।’
গত ছ’মাস ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে একই পরিস্থিতি থাকায় বহু দেশ এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উদ্বিগ্ন মার্কিন ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-ও।

Bootstrap Image Preview