Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নতুন বছেরের শুরুতেই ফের দেখা দিবে বৃষ্টি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২৩ AM
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২৩ AM

bdmorning Image Preview


গত ১২ দিনের মধ্যে ১১ দিনই দেশের কোথাও না কোথাও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে শীতে যারা কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের জন্য কিছুটা হলেও সুসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, আজ সোমবার শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এতে আগামী দু-তিন দিন স্বাভাবিক শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।

তবে নতুন বছরের শুরুতে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় আবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমবেশি যা-ই থাকুক, শীতের কষ্ট বাড়বে।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, কুয়াশা ও মেঘ কমে আসায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে তাপমাত্রাও বাড়ছে। তবে রাতের তাপমাত্রা আজও কিছুটা কমতে পারে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি উত্তরাঞ্চল ছাড়িয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

তাপমাত্রা গতকাল আরও কমে এই মৌসুমের সর্বনিম্নে পৌঁছায়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর রেকর্ড সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল অবশ্য তেঁতুলিয়ায়। ওই বছর ৮ জানুয়ারিতে সেখানকার তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল।

তীব্র শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। হাড়কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছেন দেশের সর্ব-উত্তরের এই জনপদের বাসিন্দারা। হিমালয়ের খুব কাছাকাছি জেলা হওয়ায় পঞ্চগড়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমবায়ু প্রবেশ করায় তাপমাত্রা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকলেও গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পঞ্চগড়ে দেখা গেছে সূর্যের মুখ। স্থানীয় অধিবাসীদের দেখা গেছে রোদে বের হয়ে কিছুটা উষ্ণতা নিতে।

Bootstrap Image Preview