Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

একাকীত্ব আপনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫১ PM
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫১ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবন এগিয়ে চলে। জীবন চলার পথে নানা মানুষের সাথে আমাদের দেখা হয়, সখ্যতা হয়। সু-সময়ে বন্ধুদের অভাব না হলেও, দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো লোকের সংখ্যা খুবই কম।

জীবনের মান উন্নতর করতে আমরা দিন দিন কাছের মানুষদের কাছ থেকে দূরে যেয়ে একাকি জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি। যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একাকিত্বের কারণে আমাদের পুষে রাখা রাগ, দুঃখ, অভিমান থেকে জন্ম নিচ্ছে হতাশা। আর সেই হতাশা এখন এমন পর্যায়ে যাচ্ছে যা অজান্তেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। চলুন জেনে নেয়া যাক একাকিত্ব কি কি ক্ষতির কারণ-

১. আমাদের পরিজনেরা আমাদের কাজের খোঁজ নেন, শরীরের খোঁজও নেন, কিন্তু মনের খোঁজ রাখেন না। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে একাকিত্বের সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। তারা ধরেই নেন যখন যা খুশি হয়ে যেতে পারে। কারণ তাদের এই মনের দিকটি বুঝে কথা বলেন না কেউই।

২. আপনার কোনো কাছের মানুষের সঙ্গে কথা বলে যদি মনে হয় তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন বা নিজেকে ভীষণ একা মনে করছেন তবে যতটা সম্ভব দ্রুত তার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। এই ডিপ্রেশন বা একাকিত্ব থেকেই চাপ পড়ে হৃদয়ে। যা মৃত্যুর অনিবার্য কারণ হয়ে উঠতে পারে।

৩. একাকিত্ব হতে পারে জটিল স্নায়ুর অসুখও। কারণ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে ঘুম কম হওয়া, পরিমিত খাবার না খাওয়া, চা বেশি খাওয়া, অত্যাধিক সিগারেট খাওয়া চাপ ফেলে স্নায়ুতন্ত্রে। ফলে নার্ভাস ব্রেক ডাউন বা নিজের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কী করছে, কেন করছে তার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা থাকে না।

৪. মানসিক অসুস্থতার প্রথম মাপকাঠি হলো একাকিত্ব। ছুটির দিনে স্বামী-স্ত্রী বাড়ির বাইরে ডিনারে না গিয়ে ঘরে বসে ভিডিও গেম খেললেও একাকিত্ব বাড়ে। যার ফলে অজান্তেই পজিটিভিটি, শারীরিক ক্ষমতা সবটাই কমতে থাকে। কমে যৌন চাহিদাও। যেখান থেকে অশান্তির সূত্রপাত। পরিণতি গিয়ে দাঁড়াতে পারে ডিভোর্সে।

৫. টাইপ১ ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, উচ্চরক্তচাপ সহ একাধিক শারীরিক ব্যাধির সূত্রপাত হয় অ্যাংক্সাইটি বা মানসিক রোগ থেকেই। তাই একাকিত্ব অনুভব করলে তা দূর করতে সচেষ্ট হন। আমাদের এইসব মনের রোগের জন্য দায়ী অনেকটা নিজেরাই। সবার থেকে আলাদা হয়ে না থেকে মন খুলে মিশুন। দিনশেষে হাসিখুশি থাকাটাই আসল। মন ভালো থাকলে বাকিসব কাজ নিজে থেকেই ভালো হবে।

Bootstrap Image Preview