নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর নামকরণ পূর্বে ছিল মদনগঞ্জ,পরে চৌমুহনী নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রধান উদ্যেক্তা ছিলেন জননেতা নুরুল হক এম.পি (হক সাহেব)।
চৌমুহনী থানা, জেলা বিভাগীয় শহর নয়, অথচ জেলার প্রাণকেন্দ্র। এক কথায় বানিজ্যিক কারণে হাট-বাজার-বন্দর-গঞ্জ বলা চলে। ভৌগলিক, বানিজ্যিক, শৈল্পিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক অধিষ্ঠানে জেলার প্রাণভোমরা চৌমুহনী পৌরসভা। জেলার কেন্দ্রস্থল বললে ও অত্যুক্তি হবে না। যদিও জেলার প্রশাসনিক শহর মাইজদী, সদর, নোয়াখালী।
চৌমুহনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাকের হোসেন বলেন, মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালের প্রচেষ্টায় চৌমুহনী পৌরসভায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তন্মেধ্যে উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট পৌর বাণিজ্য বিতান শপিংমল ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়াও (বিএমডিএফ) প্রকল্পের আওতায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর বাস টার্মিনাল, ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর পার্ক নির্মাণাধীন কাজ চলমান । ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর বিপণী বিতান, সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর সুপার মার্কেটের কাজ সমাপ্তের পথে।
এ ব্যাপারে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সাল বলেন, আমাদের দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিক নির্দেশনায় ২০২১ সালের মধ্যে চৌমুহনী পৌরসভাকে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত, সুখী সমৃদ্ধ সিটি কর্পোরেশন হিসাবে গড়তে চাই। যেখানে প্রাশ্চাত্যের শহরগুলোর মত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ থাকবে এবং পৌরসভা একটি ডিজিটাল নগরীতে উন্নীত হবে। যা হবে বৃহত্তর নোয়াখালীর রোল মডেল।
এছাড়াও পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহা-পরিকল্পনার আওতায় ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, রোড নেটওয়ার্ক, পরিবহন ও যোগাযোগ পরিকল্পনা, ড্রেনেজ মহা পরিকল্পনা ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন করা, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে মান সম্পন্ন সকল প্রকার ভৌত অবকাঠামো ও নাগরিক সেবা প্রদান করা, নিরাপদ শহর গড়ার লক্ষে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ কর্মসুচী গ্রহন করা, অর্থিক ও প্রতিষ্ঠানিকভাবে দক্ষ ও স্বয়ংসম্পর্ণ পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ এবং প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাসহ পৌরসভার সকল পরিচালনা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার করব ইনশাআল্লাহ।