Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিয়ের ফাঁদে চীনের যৌনবাজারে পাকিস্তানি তরুণীরা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৫ PM
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পাকিস্তানের দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে চীনা নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাদের চীনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে পাকিস্তানের মেয়েদের যৌনকর্মী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের পাচার চক্র দিনের পর দিন চলছে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এই তথ্য জানায়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নারী পাচারচক্রে বেশি শিকার হচ্ছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দেশটির খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ দরিদ্র হওয়া এই ফাঁদে বেশি পড়ছেন। কিছু দালাল পাকিস্তানি মেয়ে বিক্রির জন্য চীনা কাস্টমারদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৬৫ হাজার ডলার নেয়। ওই গরিব পরিবারদের দেওয়া হয় মাত্র দেড় হাজার ডলার। পঞ্জাব প্রদেশ, ইসলামাবাদ থেকে এমনই ৫২ চীনা নাগরিক এবং ২০ পাকিস্তানির বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান ৩১ চীনা নাগরিক।

পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কর্মকর্তা জামিল আহমেদ বলেন, পাকিস্তানি নারীদের চীনে পাচার করে তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজ করানোর খবর আমাদের কানে আসার পরেই এই গ্যাংয়ের ওপর নজর রাখছিলাম আমরা। বেশ কয়েকটি গ্যাং এই কাজ করে। প্রধানত পাকিস্তানি খ্রিস্টান সংখ্যালঘু মানুষই এদের লক্ষ্য।

জামিল আহমেদ বলেন, ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা স্বীকার করেছে যে তারা কমপক্ষে ৩৬ জন পাকিস্তানি মেয়েকে চ‌ীনে পাঠিয়েছে। চীনে তাদের পতিতাবৃত্তির জন্যই ব্যবহার করা হয়।

চীনে ‘এক সন্তান নীতি’ চালু থাকায় মেয়ের সংখ্যা এক ধাক্কায় নেমে গেছে তলানিতে। যার ফলে নারী পাচারের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম থেকে নারী পাচার সব থেকে বেশি হয়।

Bootstrap Image Preview