কোন রকম আগাম ঘোষণা ছারাই ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এর প্রভাবে বাংলাদেশর সরকার পরে বিপাকে। হটাত করে আমদানি বন্ধ হওয়ায় পেঁয়াজের বাঁজার অস্থিশীল হয়ে পরে।
এদিকে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ না দিলেও, মালদ্বীপকে অব্যাহতভাবে পেঁয়াজ সরবরাহ করে যাবে ভারত। নিজেদের দেশে পেয়াজের সংকট থাকা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এই সংকট মোকাবিলায় কয়েকটি দেশ থেকে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করছে ভারত। তা সত্ত্বেও, তারা মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানি অব্যাহত রাখবে। উল্লেখ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য ভারতের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল মালদ্বীপ। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রোববার মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এক টুইটে পেঁয়াজ রপ্তানির কথা নিশ্চিত করেছে। বলেছে, আমরা আমাদের মালদ্বীপের বন্ধুদের নিশ্চিত করে জানিয়েছি যে, নিজের দেশে মারাত্মক সংকট এবং মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করছে ভারত।
তা সত্ত্বেও মালদ্বীপকে পেঁয়াজ দেয়া অব্যাহত রাখা হবে। কেবল পেঁয়াজ নয়, মালদ্বীপে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য রপ্তানিই অব্যাহত রাখবে ভারত। উল্লেখ্য, দেশে চলমান সংকট সামাল দিতে আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে ভারত।
মালদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় মিশন রোববার এক টুইট বার্তায় জানায়, আমরা আমাদের বন্ধু মালদ্বীপকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, টানা দাম বৃদ্ধি ও দেশে এক লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় ভারত।
সম্প্রতি ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের জন্য জনসম্মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি উদবেক প্রকাশ করেন। ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় বাংলাদেশকেও অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে। শেখ হাসিনা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে রসিকতা করে বলেছিলেন, একটা সমস্যা আছে। আপনারা পেঁয়াজ পাঠাচ্ছেন না, তাই আমি পেঁয়াজ ছাড়াই খাচ্ছি।