বাগানের গাছ কাটার কাঁচি দিয়ে প্রেমিকের প্রায় ৯০ শতাংশ লিঙ্গ কেটে ফেলেন প্রেমিকা। যদিও ওই প্রেমিকা তাকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা ছিল না বলেও জানান।
এ ঘটনায় প্রেমিক ফার্নান্দেজকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে প্রেমিকা ব্রেন্ডিয়া বারাটিনিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আর্জেন্টিনার কোরডোবা শহরের আদালত ।
তবে আদালতের এই রায়ে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রেন্ডিয়ার আইনজীবী।
তিনি বলেন, পুরুষাঙ্গের ক্ষতের জন্য হত্যার চেষ্টা করার মামলায় এই দেশে এখন পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।
ব্রেন্ডিয়া বারাটিনি আদালতে বলেন, তাদের দুজনের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ও কিছু ছবি ফার্নান্দেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফার্নান্দেজের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করেন তিনি।
ওই যুবতী আরও বলেন, তার সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হতো। এ ছাড়া তাকে যৌন বস্তুতে পরিণত করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ব্রেন্ডিয়া বলেন, সে আমার গোপনীয়তা, জীবন এবং ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত করেছে। সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।
এই আক্রমণের পর আট দিন কোমায় ছিলেন ফার্নান্দেজ। তিনি বলেন, তার লিঙ্গ এখন আলাদা। তিনি সর্বদা আতঙ্কিত থাকেন ও অনিদ্রার ভুগছেন।