Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সেপটিক ট্যাংকে নেমে এক এক করে ৬ জনের মৃত্যু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০১৯, ০২:৪৬ PM
আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯, ০২:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জাফরপুর হিন্দুপাড়া গ্রামে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে একের পর এক ছয়জন প্রাণ হারালেন। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জাফরপুর হিন্দুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

গ্রামবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, নিখিল চন্দ্র মহন্ত নামের এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে নেমে তার ছেলে, ভাই, মিস্ত্রিসহ ছয়জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন একজন।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের প্রধান মিস্ত্রি শাহিন আকন্দ (৪৩), মিস্ত্রির সহকারী সিহাব হোসেন (১৮), সজল হোসেন (১৬) ও মুকুল হোসেন (৪৫), বাড়ির মালিক নিখিল চন্দ্র মহন্তের ছেলে প্রিতম চন্দ্র মহন্ত (২০) ও তার কাকাতো ভাই ভুট্ট চন্দ্র মহন্ত (৪৫)। গুরুতর অসুস্থ দিলীপ চন্দ্র মহন্ত (৫৫) নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানায়, নিখিল চন্দ্র মহন্তের বাড়িতে একটি টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছিল। এক সপ্তাহ আগে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণের কাজ শেষ হয়। আজ সকাল নয়টার দিকে মিস্ত্রিরা ট্যাংকের ভেতরের শাটার খুলতে আসেন। প্রথমে মিস্ত্রির একজন সহকারী ট্যাংকের ঢাকনা খুলে নিচে নেমে পড়েন। প্রায় ২০ মিনিটেও তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রধান মিস্ত্রি ট্যাংকে নামেন। তিনি ট্যাংকের ভেতর পানিতে পড়ে থাকতে দেখেন সহকারীকে। তবে তিনি সহকারীকে উদ্ধার করতে পারেননি। নিজেও ঢলে পড়েন।

এরপর তাকে উদ্ধার করতে নেমে তৃতীয় ব্যক্তিও ট্যাংক থেকে উঠে আসতে পারেননি। এরপর আরও চারজন নামেন। এর মধ্যে মাত্র একজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ছয়জন ট্যাংকের ভেতর মারা যান বলে জানায় তারা।

খবর পেয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ছয়জনকে মৃত এবং একজন অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। ফায়ার সার্ভিসের দলটি পরে ট্যাংকের ভেতরে থাকা পানি অপসারণ করে।

আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা বজলুর রশিদ ছয়জনের মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকটিতে মোট সাতজন নেমেছিলেন। ট্যাংকের মুখ এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকায় ভেতর বিষাক্ত গ্যাস জমে। ভেতরে ঢোকার আগে ট্যাংকের ঢাকনা দীর্ঘ সময় ধরে খুলে রাখা উচিত ছিল। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview