Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শেখ হাসিনার ওপর বিশ্বাস রাখুন...

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০১৯, ০৯:৩৪ PM
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯, ০৯:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পরিবারে যুদ্ধাপরাধী থাকলেও আ'লীগের সদস্য হওয়া যাবে-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ওবায়দুল কাদের সাহেব হঠাৎ এই ধরনের কথা কেন বলেছেন-এটা আমার বোধগম্য নয়।

ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন, কোন পরিবারে কেউ হয়তো সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে ছিল বা জামায়াত ইসলাম করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের সাথে যোগসুত্র ছিল সেটা ৪৭ বছর পরে এই ধরনের বিষয় দেখার তো কোনো যৌক্তিকতা নেই।

আমার প্রশ্ন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বার বার এই ধরনের লোকদের ফুলের মালা দিয়ে দলে না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরেও হঠাৎ কাদের সাহেব উল্টো পথে হাটার কারণটা আমার কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে।

অনেকের সাথে আলোচনা করে আমি সত্যিই মর্মাহত হয়েছি। অনেকেই বলেছে, অতীতে বিতর্কিত ও চিহ্নিত লোকদের দিয়ে গ্রুপ ভারী করা এবং তাদের বৈধতা দেওয়ার আগাম বার্তা হতে পারে। অথবা অন্য কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে এই ধরনের কথা বলা হয়ে থাকতে পারে--

কিন্তু আমার প্রশ্ন, ৪৭ বছর পর যখন যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে কথা বলার যদি কোনো যৌক্তিকতা না থাকে তাহলে তাদের বিচার করা কি প্রশ্নবিদ্ধ নয়..? তাহলে সাঈদীকে কারাগারে রেখে জনগণের টাকায় লালন-পালন না করে তাকে ছেড়ে দিলেই তো হয়। বরং আওয়ামী লীগের ওই বড় পদে সাঈদীকে বসালেও মুক্তিযুদ্ধের সন্তানরা কিচ্ছু বলবে না। মনে করবে, তাদের পূর্ব পুরুষদের দেখানো পথ কতিপয় নেতাকর্মী ধ্বংস করেছে যেভাবে ৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে প্রথমবার শুরু হয়েছিল।

কারণ, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, জামায়াত ইসলামের সাথে শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থে কারা কারা সম্পর্ক তৈরি করেছে, আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধনে নিজেরা একাকার হয়েছে-এ যুগের স‌্যোশাল মিডিয়ার কল্যানে এখন আর লুকায়িত নয়।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়। শেখ হাসিনার কোনো নির্দেশনা নেই। এটা জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেবের একান্ত মতামত।

যারা ফোন করে হতাশা প্রকাশ করেছেন তাদের ধৈর্য্য ধরতে বলবো। শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তি ও সংগঠন অন্য যেকারো কথায় মনোবল হারাবেন না।

মনে রাখবেন, শেখ হাসিনা কড়া ভাষায় দলের সকল নেতাকর্মীদের নিষেধ করেছিল। ব্যক্তির গ্রুপ ভারী করার জন্য অনেকেই এই অপকৌশল গ্রহণ করে জামায়াতের কিছু লোক ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগে ঢুকিয়ে ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শেখ হাসিনার অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে।

কাদের সাহেব খুব অসুস্থতা থেকে কিছুদিন আগে সুস্থ হয়েছেন। বলা যেতে পারে, মৃত্যুর খুব কিনারা থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। আমি আশাবাদী, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ওবায়দুল কাদের সাহেব নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত আদর্শ স্বাধীনতাবিরোধীদের আওয়ামী লীগের যোগদান করিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং সর্বপরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশের এক তৃতীয়াংশ জনগণকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না, তাদের মনোবল ধ্বংস করবে না।

সবাইকে বলবো, শেখ হাসিনার ওপর বিশ্বাস রাখুন। আমাদের আশা ভরসা আর বিশ্বাসের জায়গা একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। প্লীজ, কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Bootstrap Image Preview