দীর্ঘদিন অনেক মানুষের অনেক কষ্ট, পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে আজ মানুষ আকাশে চড়ে বেড়াচ্ছে, মহাশূন্য, চাঁদ জয় করে চলেছে তবুও সে চায় আরও দৃপ্ত, নিরাপদ, সুনিয়ন্ত্রিত উপায়ে আকাশ পথে যাত্রা করতে। যারফলে প্রতিনিয়ত আকাশযানে এসেছে নিত্যনতুন সংযোজন। সেই ধারাবাহিকতায় বড় ধরনের কোনো সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব প্রচেষ্টায় মাত্র তিন সপ্তাহে বিমান তৈরি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার একদল কিশোর-কিশোরী।
২০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল মাত্র তিন সপ্তাহে চার আসনের এই বিমানটি বানিয়েছে। তারা একেকজন একেক বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
মাত্র তিন সপ্তাহে পুরো বিমানটি বানানোর কাজ সম্পন্ন করে তরুণ নির্মাতা দলটি বলে জানানো হয় বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
বিমান বানানোর পরিকল্পনা প্রথমে আসে ১৭ বছর বয়সী মেগানের মাথা থেকে। তাদের এই প্রোজেক্টের নাম দেওয়া হয় `ইউ ড্রিম গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ'। এই প্রোজেক্টে সহায়তার জন্য এক হাজারেরও বেশি আবেদন আসে তাদের কেছে। তাদের মাঝে থেকে বাছাই করে নেওয়া হয় যোগ্যদের। মেগানসহ তাদের ৬ সদস্যের রয়েছে বিমান চালানোর লাইসেন্স।
বিমানটির পাইলট মেগান ওয়ার্নার বলেন, মনস্থির করে কোনো কাজ করলে যে কোনো কিছুই সম্ভব। আফ্রিকাকে এটা দেখিয়ে দিতেই আমাদের এ উদ্যোগ।
মেগান আরও বলেন, পাইলটের লাইসেন্স পাওয়া একটি ডিগ্রি অর্জনের সমতুল্য। স্কুলের পড়াশোনা ভালো না লাগায় বিমান চালনার প্রশিক্ষণ নিতে যাই আমি।
মেগানের বাবা ডেস ওয়ার্নারও একজন পেশাদার বিমান চালক। তিনি জানান, বাচ্চাদের বানানো এই বিমানটির জন্য অন্তত তিন হাজার কর্মঘণ্টা প্রয়োজন।
বিমানটির অন্যতম কুশলী ১৫ বছর বয়সী কিয়ামোগেটসে সিমিলা জানায়, বিমানটির দিকে তাকালে নিজের প্রতি গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়, মাঝেমাঝে অবিশ্বাস্য লাগে। বিমানটিকে মনে হয় আমার সন্তান। বিমানটি খুব সুন্দরভাবে চলে আর দেখতেও চমৎকার। বিমানটির মাঝের অংশসহ ব্যালেন্সের ডিজাইন এবং পাখার কাজগুলো করেছি আমি।