বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ায় খুশি নারীরা

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ার প্রস্তাব দেখে নারীরা বেশ খুশি। স্বামীকে এবার কড়া বার্তা দিচ্ছেন সিগারেট ছাড়ার। এতে স্বামীর কিছুটা সম্মতি দেখে তার মনে স্বস্তি। অনেক নারীর দাবি দাম আরো বাড়ালে আরো ভালো হতো। তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক নারী।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার জীবনের প্রথম বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৭ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। উচ্চস্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা এবং ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৭ টাকা ও ৪০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিড়ি-সিগারেটের পাশাপাশি ভয়াবহ আরেকটি পণ্য জর্দা ও গুল। এগুলোর ব্যবহার সরাসরি হওয়ায় শরীরের ওপর এর বিরূপ প্রভাবও বেশি। এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা এবং ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে অনেক নারী আবার ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তাদের দাবি, শুধু দাম বাড়ালে হবে না। সিগারেটের উৎপাদন, বিপণন বন্ধ করতে হবে।

গতকাল দেশের ৪৮তম এই বাজেটে সিগারেটের দাম নিয়ে ফেসবুকে এক মন্তব্যে রিতা জামান নামের এক নারী লিখেছেন, ‘খুশি হয়ে লাভ নেই, বন্ধ করলে ঠিক ছিল। কারণ, খোরেরা ঠিকই খাবে বরং সংসারে বাজে খরচ আরও বাড়লো।’

নওশিন ওয়াহেদ নামে এক নারী লিখেছেন, আমি তো অনেক খুশি। কিন্তু সিগারেটের দাম বাড়ার থেকে বন্ধ করে দিলে বেশি খুশি হতাম।