মুকেশ অম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার দাম ও ভেতরের বিস্তারিত জানলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। বিশ্বের বিলাসবহুল বাড়িগুলির মধ্যে অ্যান্টিলিয়া অন্যতম। বাড়িটির একটির সাথে অন্য তলার মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না।
অনেকের মনে বাড়িটির নাম নিয়ে প্রশ্ন জাগতে পারে। ভাবতে পারেন এত নাম থাকতে এরকম অদ্ভুত একটি নাম কেন দিলেন তিনি? ভাবতে পারেন অদ্ভুত নামের অসাধারণ বাড়িটির বাজার দরই বা কেমন হতে পারে?
আসলে এই বাড়ির নাম রাখা হয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরের রহস্যময় দ্বীপ অ্যান্টিলিয়া থেকে। এই বাড়িটির নকশা করেছে শিকাগোর পার্কিনস অ্যান্ড উইল সংস্থা এবং অস্ট্রেলিয়ার লেয়টন হোল্ডিংস।
এটি রিখটার স্কেল অনুযায়ী প্রায় ৮ তীব্রতা পর্যন্ত ভূমিকম্প সহনে সক্ষম। বাড়িটি ২৭ তলার হলেও মারাত্মক উচু সিলিংয়ের কারণে এটিকে প্রায় ৪০ তলা বাড়ির সমান দেখায়। এই বাড়িতে আম্বানিরা ছাড়াও থাকেন ৬০০ জন কর্মচারী। এছাড়াও থাকেন তাদের নিরাপত্তা রক্ষী, দেহরক্ষীরা।
৫৭০ ফুট উঁচু বাড়ির ভিতরই রয়েছে জিম, হেল্থ স্পা, বিউটি পার্লার, বলরুম। রয়েছে তিনটি সুইমিং পুল। যোগাসন এবং নাচের জন্য আলাদা স্টুডিওর ব্যাবস্থাও করা আছে বাড়িটিতে। এতে আরও আছে নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ। সেখানে আছে ৫০টি আসন। আইসক্রিম পার্লার, বড় একটি মন্দিরও বাড়িটি থেকে বাদ পড়েনি।
বাড়িটির নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে ক্রিস্টাল, মার্বেল এবং মুক্তো। বাড়িটিতে রয়েছে মোট ৯টি লিফট। রয়েছে তিনটি হেলিপ্যাড। বাড়ির ছয়টি তলা শুধুমাত্র গাড়ি রাখার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। আম্বানী পরিবারে ১৬৮টি গাড়ি রয়েছে। সপ্তম তলাটি প্রাইভেট কার সার্ভিস স্টেশন হিসাবেই ব্যবহার করেন আম্বানীরা।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাড়িটিতে একটা অন্য ব্যপারও রয়েছে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে তৈরি স্নো ফ্লেক্স ঝরে পড়ে সিলিং থেকে। ম্যানসনের স্নো রুম বলা হয় সেগুলিকে। ফলে আর্দ্রতা ও তাপ দুয়ের কোন কিছুই বাড়ির ভিতর থেকে বোঝা সম্ভব নয়।
বাকিংহাম প্রাসাদের পরই বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান বাড়ি এটি। মুম্বাইয়ের আল্টামাউন্ট রোডের এই বাড়িটি প্রায় ৪ লক্ষ বর্গ ফুটের। বাড়িটি নির্মাণে খরচ হয়েছিল ১৪ হাজার কোটির কাছাকাছি।