‘মা কই? আমি ছাত্রলীগ করব না’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহর এমন একটি আহাজারির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
যেখানে কখনো মাথায় হাত, আবার কখনো বুকে হাত দিয়ে হাউমাউ করে কান্নারত অবস্থায় তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “সারা শরীরে কোথাও মারার বাদ রাখেনাই, আমারে যে যেমনে পারছে সে সেমনেই মারছে, আমার অপরাধ কি? আমার মা কই? আমি ছাত্রলীগ করব না! আমি কিচ্ছু করি নাই, আমারে সবাই মারছে।”
শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অভ্যন্তরে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় দফায় মারধরের শিকার হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় মারধরের বিচার ও কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দেয়া পর্যন্ত রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতারা।
এর আগে অনশনকারী নেতারা অভিযোগ করেন, রাত তিনটার দিকে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয় ও তাদেরসহ নারী নেত্রীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, এবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নিজে ছাত্রলীগ নেত্রী বিএম লিপি আক্তারের গায়ে হাত তুলেছেন। এছাড়া গোলাম রাব্বানীর সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক নারী নেতারা।
শেখ আব্দুল্লাহ ছাড়াও আহতরা হলেন, নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক নিপু ইসলাম তন্বী, তিলোত্তমা শিকদার, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, শামসুন নাহার হল শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার, সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপসম্পাদক এমদাদ হোসেন সোহাগ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক আজমীর শেখ।
মারধরের বিষয় অস্বীকার করে গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাউকে মারধর করা হয়নি। কথা বলতে গিয়ে সেখানে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। কিছু কর্মী উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিল। আমরা তাদের নিবৃত্ত করেছি। এছাড়াও বিশেষ সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী পদবঞ্চিতরা এসব করছেন বলেও দাবি করেন রাব্বানী।