‘রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানী ভাই আপনাদের মধুভর্তি মেয়ে লাগে। বড় বড় প্রোগ্রামে মেয়েদের মুখ না দেখলে তো আপনাদের মন ভরত না। শোভন ভাই আপনি একদিন আমাকে সবার সামনে বলছিলেন কী রে চেহারা সুন্দর আছে; তো সেজেগুজে আসতে পারো না!
আমি সেজেগুজে আসতে পারি নাই দেখে আমাকে কমিটিতে রাখলেন না?? আপনারা যেসব মেয়েকে কমিটিতে রেখেছেন তারা কয়দিন থেকে রাজনীতি করে! আপা কি জানেন?? আর নিজে বিবাহিত বলে কমিটিতে দুনিয়ার বিবাহিত মেয়েদের রেখেছেন!!!
আর গোলাম রাব্বানী ভাই আমাকে সবার সামনে বলছিলেন দুইদিনের মেয়ে কেমনে পোস্ট পাইছো বুঝি নাই! কয়জনের বেডে গেছো রিপোর্ট করলেই জানা যাবে। মনে আছে গোলাম রাব্বানী ভাই?????? আমি তখন আপনার যোগ্য কথার জবাব দিয়েছিলাম। আজ তার শোধ নিলেন?????
অনেক তথ্য অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য।
এই বিবাহিত বিতর্কিত কমিটি মানি না; মানবো না...
আমার শ্রমের মূল্য দিতে হবে আপনাদের।’
লেখক : সাবেক কার্যকরী সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকালে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি হয়েছেন ৬১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন ১১ জন। এ ছাড়া বিষয়ভিত্তিক সব সম্পাদক এবং সহ-সম্পাদক ও উপসম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়।
এর আগে, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগ ২৯ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিজেরা কমিটি করতে ব্যর্থ হলে ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক অর্পিত ক্ষমতাবলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন।